মুম্বই: বলিউডে #MeToo মুভমেন্ট শুরু হয়েছে অনেক আগে। প্রথম অভিযোগ উঠেছিল নানা পাটেকরের বিরু্দ্ধে। তুলেছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে প্রবীণ অভিনেতা নানা পাটেকর কয়েক বছর আগে সিনেমার সেটে তাঁকে হেনস্তা করেছিলেন। তনুশ্রী দত্তের অভিযোগের পর ২০১৮ সালে বলিউডে #MeToo ওয়েভ আসে। নানা পাটেকরের ঘটনাটি সামনে আসার পর এই প্রসঙ্গে অনেক বড় বড় বলিউড ব্যক্তিত্বের নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপর ক্রমশ থিতিয়ে পড়ে এই আন্দোলন। এবার ফের বলিউডে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে #MeToo.
#MeToo মুভমেন্টের সময় যে সব নাম উঠে এসেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল সাজিদ খান। এবার ফের তাঁর নামেই অভিযোগ উঠল। অভিযোগ তুললেন ডিম্পল পাল নামে এক মডেল। পাওলা নামে তিনি পরিচিত। ওই ভারতীয় মডেল ইনস্টাগ্রামে সরাসরি সাজিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নীরবতা ভেঙে তিনি অভিযোগ করেছেন যে সাজিদ খান তার 'হাউসফুল' ছবিতে অভিনয় করার জন্য তাঁকে অফার দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই জন্য তাঁকে নগ্ন হয়ে সামনে দাঁড়াতে বলেছিলেন সাজিদ খান। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, “যখন #MeToo মুভমেন্ট শুরু হয় তখন অনেকেই সাজিদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু আমি সাহস করে উঠতে পারিনি। কারণ অন্য অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীদের মতো আমার কোনও গডফাদার ছিল না আর আমি ছিলাম পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। কিন্তু এখন আমি আমার বাবা-মাকে হারিয়েছেন। আমি নিজের জন্যই শুধু উপার্জন করি। আজ আর ভয় পান না। তাই আজ সাহস করে বলতে পারছি যে সাজিদ খান আমাকে ১৭ বছর বয়সে হেনস্তা করেছিলেন। উনি আমাকে অশালীন কথা বলেছিলেন। আমাকে অযাতিত স্পর্শ করতে চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী আমাকে তাঁর সামনে নগ্ন হতেও বলেছিলেন। আর এসবই তিনি তাঁর 'হাউজফুল' ছবিতে সুযোগ দেওয়ার জন্য করতে বলেছিলেন। কতজন মহিলা এমন করেছে আমি জানি না। এখন সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করছি মানে এই নয় আমি করুণা চাইছি। ছোটবেলার ওই ঘটনা আমাকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছিল। কিন্তু আমি কিছু বলিনি কারণ কেরিয়ারে ওটা আমার হাই টাইম ছিল। এই ধরণের মানুষদের শাস্তি হওয়া উচিত। শুধু কাস্টিং কাউচের জন্য নয়, মানুষকে ম্যানুপুলেট করার জন্য। মানুষের স্বপ্ন চুরি করার জন্য এদের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু আমি থামিনি। কিন্তু এতদিন যে বলিনি, সেটা ভুল করেছি।”
🙏🏼 Before democracy dies and there is no freedom of speech anymore I thought I should speak !
সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যখন যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল, অনেক মহিলা এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা তাঁদের ভয়াবহ ঘটনার কথা শেয়ার করেন। প্রসঙ্গত, ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন (আইএফটিডিএ) একাধিক মহিলা পরিচালকের বিরুদ্ধে ভারতের #MeToo আন্দোলনের সময় যৌন অনুপযুক্ত আচরণের অভিযোগ এনে সাজিদকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।