নয়াদিল্লি ও মুম্বই: অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার সঙ্গে জরিত মাদকযোগ কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে বর্তমানে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তদন্তে ইতিমধ্যেই মাদক চক্র নিয়ে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী একাধিক তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থাকে। সেই সূত্র ধরেই শনিবার মুম্বই ও গোয়ার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারপর ২৩ বছরের করম জিত আনন্দ ওরফে কেজে সহ আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বান্দ্রার কেজের কাছ থেকে মারিজুয়ানা এবং হাশিশ বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। তবে তার পরিমাণ এখনও জানায়নি সংস্থা।
কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মাদক চক্রের পিছনে অন্যতম মাথা হল ২৩ বছরের কেজে। তল্লাশি চালানোর পর প্রথমেই কেজের হদিশ পেয়ে তাকে আটক করে পুলিশ এরপর দাদার থেকে ডোয়েন অ্যান্টনি ফার্নান্দেজ-সহ আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের সঙ্গে ৫০০ গ্রাম মারিজুয়ানা মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরপর পোওয়াই নামক অঞ্চলে এনসিবি হানা দিয়ে ২৯ বছরের অঙ্কুশ আরেনজা'কে গ্রেফতার করে। আরেনজা'র কাছ থেকে ৪২ গ্রাম হাশিস এবং নগদ ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে এনসিবি। সংস্থা তরফে জানানো হয়েছে করম জিতের কাছ থেকে আরেনজা নিষিদ্ধ মাদক সংগ্রহ করত এবং তা চালান করত অনুজ কেশওয়ানি'র কাছে।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা জানিয়েছেন, গোয়া থেকে এদিন ক্রিস কোস্টা নামের আরও এক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে গ্রেফতার হতে পারে মাদক চক্রে জড়িত থাকা আরও একাধিক ব্যক্তি। শনিবার দিনভর বান্দ্রা, খার, লোখান্ডওয়ালা, পোওয়াইয়ের নানান জায়গায় খানা তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক ও পুলিশেরা। অভিনেতার মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদক কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।
মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী সহ তাঁর ভাই সৌভিক, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত'কে আগেই আটক করেছিল সংস্থা। সেক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। তাদের আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি রিয়ার থেকে তথ্য নিয়ে বলিউডের প্রথম সারির ২৫ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের নামে তালিকা প্রস্তুত করেছে এনসিবি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তাদের খুব শীঘ্রই ডেকে পাঠাতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনসিবি।