মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত করছে তিনটি তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ইতিমধ্যেই এনসিবির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। এবার সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে উঠে এল আন্তর্জাতিক যোগ। এনসিবির কাছে এমন তথ্য এসেছে যে বলিউডে যে ড্রাগ আসে তা সরবরাহ করা হয় অমৃতসর এবং পাকিস্তান থেকে। নিয়মিত এই দুই জায়গা থেকে নাকি বলিউডে কোকেন সরবরাহ হয় বলে খবর।
বলিউডের সঙ্গে ড্রাগ চক্রের যোগের কথা এখন সামনে এসে গিয়েছে। একের পর এক বলিউড সেলেব্রিটির নাম সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে রিয়া চক্রবর্তী ২৫ জন বলিউড সেলিব্রিটির নাম নিয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে এনসিবি। সম্প্রতি সংস্থার এক সিনিয়র আধিকারিকের জানিয়েছেন, তদন্তকারী অফিসারদের কাছে এখন সবই জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বলিউডের কোন কোন সেলেব এই ড্রাগ চক্রের সঙ্গে যুক্ত, তা তাঁরা জানতে পেরেছেন। তবে এখন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। ওই আধিকারিক জানান কোকেন ও হেরোইন সহ অনেক ড্রাগেরই কারবার হয় বলিউডে। এই ড্রাগ আসে সম্ভবত অমৃতসর থেকে। এই নিয়ে এনসিবি যাদের নাম পেয়েছে তাদের সামনের সপ্তাহেই সমন পাঠানো হবে। শুধু তাই নয়। এই ঘটনায় ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার ড্রাগ এনফোর্সমেন্টের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুরাগের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ, পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন স্ত্রী কল্কি
এনসিবি এও জানতে পেরেছে, ২০১৮ সালে ১২০০ কিলো কোকেন এসেছে ভারতে। সেই সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছেন এনসিবির অফিসাররা। মুম্বইতে ইতিমধ্যে ৩০০ কিলোগ্রাম ড্রাগ ঢুকেছে বলে খবর। এনসিবি সূত্রে এও জানা গিয়েছে, কোলাম্বিয়া-ব্রাজিল-মোজাম্বিক- এই রুটেই ভারতে কোকেন আসে। কোকেনের উপাদান পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় ভারতে। তাই এই দেশেই কোকেন তৈরির পরিকল্পনা করছে ড্রাগ চক্রের চাঁইরা। এও জানা গিয়েছে এই ড্রাগ ব্যবসার টাকা যায় সন্ত্রাসবাদীদের কাছে। অফিসাররা এও জানতে পেরেছেন ভারতে প্রায় প্রতিদিন এক টন হেরোইনে নেশা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। পাকিস্তান এতে মদত দেয়। আফগানিস্তানের হেরোইন পঞ্জাব হয়ে ভারতে ঢোকে। গুজরাতের জলপথেও এই কাজ হয় বলে খবর।