NCB-র কাছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ‘মাল’-এর কথা স্বীকার দীপিকার, তবে বয়ানে সন্তুষ্ট নন কর্তারা

মুম্বই: টানা ৫ ঘণ্টা জেরার পর NCB অফিস থেকে শনিবার বেরোলেন দীপিকা পাড়ুকোন। শ্রদ্ধা কাপুর ও সারা আলি খানকেও এদিন ৪ ঘণ্টা জেরা করেন NCB কর্তারা। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা ও সারা ড্রাগ নেওয়ার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে দীপিকা তাঁর ও করিশ্মার যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটটি প্রকাশ্যে এসেছে, তার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন।

 

মুম্বই: টানা ৫ ঘণ্টা জেরার পর NCB অফিস থেকে শনিবার বেরোলেন দীপিকা পাড়ুকোন। শ্রদ্ধা কাপুর ও সারা আলি খানকেও এদিন ৪ ঘণ্টা জেরা করেন NCB কর্তারা। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা ও সারা ড্রাগ নেওয়ার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে দীপিকা তাঁর ও করিশ্মার যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটটি প্রকাশ্যে এসেছে, তার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন।

শনিবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্তারা জানিয়েছেন (NCB) জিজ্ঞাসাবাদে দীপিকা পাড়ুকোন তাঁর ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের সঙ্গে মাদকের চ্যাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। উভয়কেই মুখোমুখি জেরা করা হয়েছিল আজ এবং ২০১৭ সালের চ্যাটগুলি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। দীপিকা তখনই তা নিশ্চিত করেন। কিন্তু দীপিকা পাডুকোনের জবাবে সন্তুষ্ট হননি কর্তারা। তাই তাঁকে দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে।
কী ছিল ওই ড্রাগ চ্যাটে?

সম্প্রতি একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। চ্যাটে অভিনেত্রী কোনও এক নির্দিষ্ট ব্যক্তি ‘কে’-র থেকে ‘মাল ও হ্যাশ’ চাইছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। চ্যাটে দীপিকার ম্যানেজার কারিশমা প্রকাশের নামও উঠে এসেছে এবং জানা গিয়েছে যে তাঁকে এনসিবির কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। একটি সংবাদমাধ্যমে দীপিকা এবং কারিশমার মধ্যে চ্যাটের বিবরণ প্রকাশ পেয়েছে। দু’জনের মধ্যে মাদকের সঙ্গে সম্পর্কিত কথোপকথনটি ২৮ অক্টোবর, ২০১৭ সালের। সেখানে লেখা রয়েছে,

‘ডি’ লিখেছেন: কে… মাল আছে?

‘কে’ লিখেছেন: আমার বাড়িতে আছে তবে। আমি বান্দ্রায় আছি …

কে লিখেছেন: আপনি চাইলে আমি অমিতকে জিজ্ঞাসা করতে পারি

দীপিকা লিখেছেন: হ্যাঁ !! প্লিজ

কে লিখেছেন: অমিত আছে। সে ওটা নিয়ে যাচ্ছে

দীপিকা লিখেছেন: হাশ না?

দীপিকা লিখেছেন: উইড নয়

কে লিখেছেন: আপনি কোকোয় কখন আসছেন?

দীপিকা লিখেছেন: 1130 / 12ish

দীপিকা লিখেছেন: শল কতক্ষণ আছে?

কে লিখেছেন: আমার মনে হয় সে ১১:৩০ বলেছিল কারণ ১২টায় অন্য জায়গায় তার দরকার আছে

এই কথোপকথনের ‘ডি’ এবং ‘কে’ হলেন যথাক্রমে দীপিকা এবং কারিশমা। কোকো একটি রেস্তোঁরার নাম যা মুম্বাইয়ের কমলা মিলস এলাকায় অবস্থিত।

এদিকে, দীপিকা পরিচালিত ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা কেওয়ানও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এর আগে ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা এবং সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার ধুভ চিতগোপেকারকেও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিশেষত জয়া সাহাকে মামলার ‘কিংপিন’ হিসাবে অভিহিত করা হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ তার জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপরের চ্যাটের কথাও জিজ্ঞাসা করে। দীপিকা এবং কেওয়ানের অন্যান্য সদস্যরা ‘ডিপি+কা+কেওয়ান’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অংশ ছিলেন যেখানে দীপিকা অ্যাডমিন ছিলেন। শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গেও জয়া সাহার চ্যাটও উঠে এসেছিল। যেখানে শ্রদ্ধা সিবিডি তেল চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সারার বিরুদ্ধেও উঠেছে মাদক নেওয়ার অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =