মুম্বই: বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। এই নিয়ে মহিলা কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হলেন অভিনেত্রী। এমনকী তিনি অনুরাগের নারকো অ্যানালিসিস ও পলিগ্রাফ টেস্টেরও দাবি তুলেছেন।
বুধবার পায়েল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির নর্থ ব্লকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে সাহায্য চান তিনি। নর্থ ব্লকে যাওয়ার আগেই টুইটারে সেই খবর জানান তিনি। লেখেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে যাচ্ছেন তিনি। সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন। শেষ পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান পায়েল। এও বলেন তাঁকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা বৃথা। এদিকে মঙ্গলবারই দিল্লিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করেন পায়েল। তাঁদের মধ্যে অনেক্ষণ কথা হয়। আলোচনার পর পায়েল জানান, কীভাবে তদন্তে এগোবে তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনি পায়েলকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া নিজের জন্যও নিরাপত্তার দাবি করেছেন পায়েল। এও বলেছেন তাঁর পরিবার ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী অনুরাগের জেলে থাকা উচিত বলেও দাবি করেন অভিনেত্রী।
কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। বলেছিলেন, অনুরাগ অভিনেত্রীকে তাঁর বাড়িতে ডেকেছিলেন এবং কাশ্যপ সেক্সুয়াল ফেভার চেয়েছিলেন। একটি নিউজ চ্যানেলের সাথে কথোপকথনে আরও অনেক কিছু প্রকাশ করেছেন তিনি। পায়েল এও বলেন, অনুরাগ তাঁকে লজ্জা না পেয়ে এই কাজে সহায়তা করতে বলেছিলেন। এই অভিনেত্রী নিউজ চ্যানেলকে বলেন, “কাশ্যপ পরের বারও তাঁকে ফোন করেছিলেন, এবং তখন ফের তিনি তাঁকে জোর করেন। যখন আমি অস্বস্তি বোধ করতাম তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তোমার লজ্জা লাগবে না কারণ আমার মেয়েরা সারাক্ষণ এসব করে। শুধু ডাকার অপেক্ষা। তারা আমার সঙ্গে ভাল সময় কাটায়।”
জানা গিয়েছে অনুরাগের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কঠোর ধারায় মামলা করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশের তদন্তের পর অভিযোগগুলি সত্য বলে প্রমাণিত হলে অনুরাগকে গ্রেফতার করা যেতে পারে বলে খবর। পায়েল অনুরাগের বিরুদ্ধে ৪টি ধারায় মামলা করেছে। ধারা ৩৭৬ (আই) অর্থাৎ ধর্ষণের অভিযোগ, ৩৫৪ অর্থাৎ একজন মহিলাকে তার মর্যাদা লঙ্ঘনের জন্য আক্রমণ করা, ৩৪১ অর্থাৎ কোনও মহিলাকে ভুলভাবে আটকানো এবং ৩৪২ অর্থাৎ কাউকে বন্ধক রাখা। এর মধ্যে ৩৭৬ হল জামিনের অযোগ্য ধারা।