যিশু সেনগুপ্তের মেয়ের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, সাইবার সেলের দ্বারস্থ অভিনেতা

কলকাতা: ফের ফেক প্রোফাইল ইস্যুতে সরগরম টলিউড। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ চক্রবর্তীর ভুয়ো প্রোফাইল খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। এবার ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হল যিশু সেনগুপ্তর মেয়ে সারার নামে। ঘটনায় সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। তাঁর অভিযোগের পরই মুছে ফেলা হয় সারার ভুয়ো প্রোফাইল। ঘটনায় কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যিশু।

29fd4dc12541d465dd9c6d9bad71876b

 

কলকাতা: ফের ফেক প্রোফাইল ইস্যুতে সরগরম টলিউড। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ চক্রবর্তীর ভুয়ো প্রোফাইল খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। এবার ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হল যিশু সেনগুপ্তর মেয়ে সারার নামে। ঘটনায় সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। তাঁর অভিযোগের পরই মুছে ফেলা হয় সারার ভুয়ো প্রোফাইল। ঘটনায় কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যিশু।

‘উমা’ ছবিতে অভিষেক হয় যিশু সেনগুপ্তের মেয়ে সারার। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যিশুর ছোট মেয়ে জারাও ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তারপর আর কোনও ছবিতে তাঁকে দেখা যায়নি। তবে তখন থেকেই সারার ফ্যান ফলোয়ার্স প্রচুর। তখন থেকেই তিনি স্টার। কিন্তু আর কোনও ছবি না করলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রোফাইল তৈরি হয়ে গিয়েছে একাধিক। তার মধ্যেই একটি ছিল এই ভুয়ো প্রোফাইলটি যার নামে সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। 

null

কিছুদিন আগে রাজ চক্রবর্তীর নামে ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি হওয়ার খবর এসেছিল। সেখানে লেখা ছিল রাজ চক্রবর্তী তাঁর কোনও এক প্রোজেক্টের জন্য শিশু শিল্পীর খোঁজ করছেন। এমন বিজ্ঞাপন চোখে পড়ার পর অনেক অভিভাবকই তাঁদের সন্তানদের নিয়ে যোগাযোগ করেন। অডিশন দেওয়ান। তখনই রাজ চক্রবর্তীর কানে খবরটি পৌঁছয়। তিনি জানতে পারেন কয়েকজন প্রতারক তাঁর নাম ভাঁড়িয়ে টাকা নিচ্ছে। এই ঘটনার পরই তিনি কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেন পুলিশ। তারপর বর্ণালী ঘোষ, রাজু নাথ ও দীপম কুণ্ডু এবং নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

ফেসবুকে পরিচালক লেখেন, “ফেসবুকে আমার এবং আমার কোম্পানি ‘রাজ চক্রবর্তী এন্টারটেইনমেন্ট’-এর নাম করে প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে। এবং, প্রচুর মানুষ নিজের অজান্তেই বুঝতে না পেরেই সেই সব ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ফলো করছে। তাদের সহজ মানসিকতার সুযোগ নিয়ে কিছু ভুয়ো লোকজন এই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে মেয়েদের সাথে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল চ্যাট করছে। অনেকের কাছ থেকে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে প্রচুর টাকাও নিচ্ছে৷ আমি আগেও বলেছি, আমি ফেসবুকে কারোর সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে চ্যাট করি না৷ আর, social media-তে আমার বা আমার কোম্পানির প্রত্যেকটি পেজই VERIFIED. অর্থাৎ, পেজের পাশে একটি ‘blue tick’ দেওয়া আছে। আমাদের এখানে টাকার বিনিময়ে কোনওরকম কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয় না। কাজ করার মাপকাঠি শুধুমাত্র তোমাদের যোগ্যতা। আমরা আজকেই তিনজন ভুয়ো ব্যাক্তি-র নামে কসবা থানায় ডায়েরি করেছি৷ এখন তারা পুলিশের হেফাযতে৷ সুতরাং, আপনাদের বারংবার অনুরোধ করছি এই ধরনের মিথ্যে প্রলোভনে পা দেবেন না। ধন্যবাদ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *