ধর্ষণের মামলা দায়ের হল টলিউড তথা বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পরিবারের বিরুদ্ধে। তাঁর ছেলে মিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ধর্ষণ করেছে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এদিকে তার মা অর্থাৎ মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জোর করে গর্ভপাত করিয়েছেন ওই তরুণীর। একই সঙ্গে তাকে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে আইনি বিপাকে মিঠুন চক্রবর্তীর পরিবার।
নির্যাতিতা দাবি করেছেন, ২০১৫ সালে মিমোর অনুরোধে তার বাড়িতে যান তিনি। কিন্তু সেখানে যাবার পর তাকে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাওয়ানো হয়। সেই সুযোগেই মিমো তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তী সময়ে ৪ বছর তাদের সম্পর্ক ছিল বলে জানান ওই তরুণী। এই সময় একাধিকবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করেছেন মিমো বলে দাবি তার। তবে হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মিমোকে জানালেও সে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। বরং গর্ভপাত করানোর জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে শুধু মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয় তার। নির্যাতিতা বলেন, জোর করে ওষুধ খাইয়ে মিমো তার গর্ভপাত করান, কিন্তু এতে পূর্ণ সমর্থন ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী যোগিতা বালির। এমনকি তিনি একাধিকবার তাকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মিমো ওই মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩১৩ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে নির্যাতিতা বেগমপুর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ২০১৮ সালে। যদিও সেখানে অভিযোগ করে কোন লাভ পাননি তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে চলতি বছরের মার্চ মাসে দিল্লির রোহিনী আদালতে তিনি একটি মামলা রুজু করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয়। তারপর নির্যাতিতা ওসিওয়ারা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন।