বিগ বস হাউস থেকে বেরিয়ে এজাজকে নিয়ে বিস্ফোরক কবিতা

মুম্বই: বিতর্কে কালার্স চ্যানেলের জনপ্রিয় শো ‘বিগ বস’। শোয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী কবিতা কৌশিক। সম্প্রতি শো থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। তারপরই সলমন খান সঞ্চালিত এই রিয়ালিটি শো নিয়ে নিজের বিতৃষ্ণার কথা জানান কবিতা।

মুম্বই: বিতর্কে কালার্স চ্যানেলের জনপ্রিয় শো ‘বিগ বস’। শোয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী কবিতা কৌশিক। সম্প্রতি শো থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। তারপরই সলমন খান সঞ্চালিত এই রিয়ালিটি শো নিয়ে নিজের বিতৃষ্ণার কথা জানান কবিতা।

বিগ বসের ঘরে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হিসেবে গিয়েছিলেন তিনি। বেরিয়ে আসার পর একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, বিগ বসের বাড়িতে থাকতে গেলে খুব হিসেব করে চলতে হয়। সতর্ক থাকতে হয় খুব। এমনকি প্রতি ক্ষেত্রে কারসাজি করতে হয়। তিনি একজন সহৃদয় এবং সৎ মানুষ। কোনও মানুষের প্রকৃত চরিত্র এমন হতে পারে না। এই বাড়িতে কেউ নিজের প্রকৃত সত্ত্বা প্রকাশ করলেই গন্ডগোল। তবে এনিয়ে তিনি অবাক হননি। বরং অবাক হয়েছিলেন যে, এজাজ খানের সঙ্গে তাঁর লড়াই নিয়ে। তাঁদের ঝামেলা আসলে যা নিয়ে হয়েছিল তা সম্পূর্ণভাবে অন্য দিকে মোড় নিয়েছিল। তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন, তা তো দর্শকের কাছে পৌঁছায়নি, উলটে তা বিকৃত হয়ে যায়। কবিতা জানান, তিনি বলতে চেয়েছিলেন যে এজাজ খানের বন্ধু বা ভালোবাসার প্রয়োজন নেই। বিগ বসের ঘরে শুধু তাঁর কোনও চামচে দরকার। তিনি মানুষকে ব্যবহার করেন। এই ঘটনায় দুঃখ পেয়েছিলেন কবিতা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আবেগপ্রবণ না হয়ে তাঁর স্মার্ট হওয়া প্রয়োজন ছিল। এ নিয়ে কবিতা সলমান খানকেও জানিয়েছিলেন। 

কবিতা লকডাউনের মধ্যে এজাজের জন্য রান্না করেছিলেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমস্যার সূত্রপাত। অনেকেই বলতে থাকেন, তিনি অন্যকে সাহায্য করে সেটা জাহির করবার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ট্রোলও হন কবিতা। কবিতার বক্তব্য, লকডাউনের সময় খাবার নিয়ে খুব সমস্যা চলছিল। এজাজ তাঁর সহকর্মী ছিলেন। কবিতার সিনিয়র তিনি। সুতরাং তিনি অভাবগ্রস্ত হবেন, এমন নয়। এজাজ আসলে সিঙ্গেল। তাঁর বোন, স্ত্রী বা রান্না করে দেওয়ার মতো কোনও বান্ধবী ছিল না। লকডাউনে রাঁধুনিও পাওয়া ভার ছিল। তাই তিনি এজাজের জন্য রান্না করেছিলেন। সেই প্রসঙঅগেই তিনি কথাটা বলেছিলেন। কিন্তু মানুষ অন্যভাবে নিয়েছে। এছাড়া বিগ বসের ঘরেও তিনি এজাজের পাশের ঘরেই থাকতেন। তবে সেখানে এজাজের বন্ধুর প্রয়োজন ছিল না। প্রয়োজন ছিল চামচের। তিনি এই বিষয়টি বুঝতে পারেন। গোটা ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − thirteen =