সর্বজিৎ সিংহের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আমির তাম্বা ও মুদ্দাসরকে মুনিরকে মুক্তি দিল পাক আদালত। গোটা বিচার প্রক্রিয়াই ছিল প্রহসন। তাই বিচারের রায়ে আপত্তি জানিয়েছে সর্বজিতের পরিবার। সন্ত্রাসবাদী এবং ভারতীয় গুপ্তচর তকমা দিয়ে ভারতীয় নাগরিক সর্বজিৎকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে লাহৌর ও মুলতানে বিস্ফোরণে ১৪ জনকে হ্ত্যার অভিযোগও আনা হয়। ১৯৯১ সালে বিচারের রায়ে প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দেয় পাক আদালত। প্রথম থেকেই এই ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানায় ভারত। তাঁর হয়ে ভারত সরকার আইনি লড়াইও শুরু করে। চাপে পড়ে ২০০৮ সালে পাক আদালতে ফাঁসির সাজার রায় মুলতবি রাখাতে বাধ্য হয়। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় ২০১৩ সালে। কোট লাখপত জেলে বন্দি থাকার ওই দুই অভিযুক্তের হামলা চালায় তাঁর ওপর। জানা গেছে, হামলার ফলে মাথায় গুরুতর চোট পান সর্বজিৎ। সেই চোটের কারণেই হাসাপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর আগে ১৬ বছর পাকিস্তানের জেলেই কাটিয়েছিলেন সর্বজিৎ। দু’জনের বিরুদ্ধেই মামলা চলছিল লাহৌর দায়রা ও জেলা আদালতে। সূত্রের খবর, শনিবার অভিযুক্তদের মুক্তি দেয় পাক আদালত। আদালতের রায়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ আদালতে পেশ করেনি পুলিশ। আর পুলিশের দাবি ছিল, পুলিশের দাবি, সে সময় সর্বজিতের বয়ান রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরাই তাঁদের বাধা দিয়েছিলেন। তা ছাড়া, বয়ান দেওয়ার মতো অবস্থাতেও ছিলেন না তিনি। শেষপর্যন্ত প্রমাণের অভাবেই আমির ও মুদ্দাসরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সর্বজিতের হত্যাকারীদের মুক্তি দিল পাক আদালত
সর্বজিৎ সিংহের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আমির তাম্বা ও মুদ্দাসরকে মুনিরকে মুক্তি দিল পাক আদালত। গোটা বিচার প্রক্রিয়াই ছিল প্রহসন। তাই বিচারের রায়ে আপত্তি জানিয়েছে সর্বজিতের পরিবার। সন্ত্রাসবাদী এবং ভারতীয় গুপ্তচর তকমা দিয়ে ভারতীয় নাগরিক সর্বজিৎকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে লাহৌর ও মুলতানে বিস্ফোরণে ১৪ জনকে হ্ত্যার অভিযোগও আনা হয়। ১৯৯১ সালে বিচারের রায়ে প্রাণদণ্ডের নির্দেশ