মুম্বই: ড্রাগ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিনেতা অর্জুন রামপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। সোমবার তাঁকে সংস্থার অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মাদক মামলায় তদন্ত করতে গিয়েই অর্জুন রামপালের নাম উঠে আসে। তারপরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এনসিবির কাছে অর্জুন তাঁর চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন জমা দিয়েছেন। যদি এটি ভুয়ো প্রমাণিত হয় তবে অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এনসিবি।
২১ ডিসেম্বর সোমবার সকালে অর্জুন রামপাল দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি মুম্বইয়ের কার্যালয়ে এসেছিলেন। কিছু মনোরোগ সম্পর্কিত ওষুধের কারণে অর্জুন রামপালের দেওয়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে এনসিবি সন্দেহ করেছে। গত মাসে এসিবি পরিচালিত অভিযানের সময় ওষুধগুলি অভিনেতার বাড়িতে পাওয়া গিয়েছিল। ১৩ নভেম্বর অর্জুন রামপাল এনসিবির কাছে তাঁর বাড়িতে পাওয়া মনোরোগ বিশেষজ্ঞের ওষুধের জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন জমা দেন। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় অর্জুন রামপাল বলেন যে কোনও ধরণের মাদক বা মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি ওনিয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে সবরকম সহযোগিতা করছেন। তিনি তাঁর বাড়িতে পাওয়া ট্যাবলেটগুলির জন্য একটি বৈধ প্রেসক্রিপশন জমা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন অভিনেতা।
অর্জুন রামপালকে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি তলব করে। এনিয়ে ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে সমন পাঠানো হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ব্যক্তিগত কারণে তিনি তাঁদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন। সূত্র অনুসারে, অর্জুন রামপালের প্রেসক্রিপশনটি যদি জাল বলে প্রমাণিত হয়, তবে অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এনসিবি। অর্জুন রামপাল দিল্লির এক ডাক্তারের কাছ থেকে বন্ধুর মাধ্যমে প্রেসক্রিপশনটি পেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্রেসক্রিপশনের তারিখটি পিছনের। একটি জাল, ব্যাকটেড প্রেসক্রিপশন তৈরি করা বড় কিছু নয়। ফলে অর্জুন তা তৈরি করতে পারেন বলেও আশঙ্কা। তাই গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে এনসিবি।