মুম্বই: মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে গেল আরও এক বলিউডে সেলিব্রিটির নাম। তিনি দিয়া মির্জা। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সম্প্রতি মাদক কাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে দু’জন ভারতীয়। তাদের মধ্যে একজন অভিনেত্রী দিয়া মির্জার প্রাক্তন ম্যানেজার এবং অপরজন তার বোন।
সম্প্রতি নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো মুম্বইয়ের পশ্চিম বান্দ্রায় বেশ কিছু ক্যুরিয়ার বাজেয়াপ্ত করে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেন এনসিবির অফিসাররা। এরপর গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে একটি বহুতল আবাসনেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেও গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আবাসন থেকে করণ সাজনানি নামে বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে দিয়া মির্জার প্রাক্তন ম্যানেজার রাহিলা ফার্নিচারওয়ালার সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া রাহিলার বোনও মাদক কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বলে এনসিবি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। এখনও পর্যন্ত NCB প্রায় ২০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই বিজেশি প্রভাবশালীদের কাছে গাঁজা পৌঁছে দিত। আর এই কাজে তাকে সাহায্য করত দিয়ার প্রাক্তন ম্যানেজার এবং তার বোন। অভিযোগ, টাকার জোগানও দিত তারা।
ইতিমধ্যেই অর্জুন রামপালের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার করেছে এনসিবি। তলব করা হয়েছে অভিনেতা ও তাঁর বোন কোমলকে। জানা গিয়েছে, অর্জুনের বাড়ি থেকে যে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছিল NCB, সেই প্রসঙ্গেই কোমলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ সেগুলির মধ্যে কিছু ছিল তাঁর পোষ্য কুকুরের এবং কিছু ছিল বোন কোমলের। কিছু মনোরোগ সম্পর্কিত ওষুধের কারণে অর্জুন রামপালের দেওয়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে এনসিবি সন্দেহ করে। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় অর্জুন রামপাল বলেন যে কোনও ধরণের মাদক বা মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি ওনিয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে সবরকম সহযোগিতা করছেন। তিনি তাঁর বাড়িতে পাওয়া ট্যাবলেটগুলির জন্য একটি বৈধ প্রেসক্রিপশন জমা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন অভিনেতা।