মুম্বই: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন সোনু সুদ। তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঋণ পর্যন্ত নিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই কিনা উঠল অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ! সোনু সুদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। সোনুকে ‘স্বভাবসিদ্ধ অপরাধী’ হিসেবে আদালতে হলফনামাও দিয়েছে তারা। তবে তার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোনু সুদ। আদালত জানিয়েছে, ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সোনু সুদের বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
গত সপ্তাহেই অভিনেতার বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ পড়েছে। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে ওই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। বিএমসির অভিযোগ, জুহুতে ৬ তলার যে শক্তি সাগর আবাসন রয়েছে তাকে কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই হোটেলে রূপান্তরিত করেছেন সোনু সুদ। নির্মাণটি সম্পূর্ণ অবৈধ। সোনু সুদের বিরুদ্ধে এও অভিযোগ, আবাসন হিসাবে অনুমেদন দেওয়া হয়েছে জুহুর ওই বিল্ডিংকে। অথচ অনুমতি না নিয়ে তিনি আবাসিক হোটেলে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (BMC) কাছ থেকে অনুমতি নেননি তিনি। এই কারণে বিএমসি জুহু পুলিশকে মহারাষ্ট্র রিজিয়ন অ্যান্ড টাউন প্ল্যানিং (MRTP) আইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের করতে নির্দেশ দেয়। বিএমসি আরও অভিযোগ, নোটিস জারি করবার পরেও কাজ বন্ধ করেননি অভিনেতা সোনু সুদ।
তবে অবৈধ নির্মাণের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেতা। বিএমসির নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে তার আগে নগর দায়রা আদালতেও পিটিশন দাখিল করেছিলেন সোনু। তবে গত মাসে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। উচ্চআদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। রায় পুনর্বিবেচনার জন্য এই আবেদন করতে পারতেন সোনু। তারপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেতা। মঙ্গলবার হাই কোর্টে এদিন হলফনামায় বিএমসি জানিয়েছে, আবেদনকারী ‘স্বভাবসিদ্ধ অপরাধী’। তিনি অবৈধ নির্মাণের বাণিজ্যিক ফায়দা তুলতে চান। তাই আবাসনটিকে হোটেলে রূপান্তরিত করতে ভেঙে দেওয়া অংশে নির্মাণ কাজ শুরু করেন তিনি। এর জন্য লাইলেন্স ডিপার্টমেন্টের অনুমতি নেননি তিনি। তবে আদালত এই মামলায় জানিয়েছে, ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সোনু সুদের বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
