বড় পর্দায় নিজেকে মেলে ধরতে চান হরনাজ

বড় পর্দায় নিজেকে মেলে ধরতে চান হরনাজ

মুম্বই: বড় পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার ইচ্ছের কথা জানালেন সদ্য মিস ইউনিভার্স খেতাবজয়ী চণ্ডীগড়ের মেয়ে হরনাজ কউর সান্ধু

২১ বছর পর চণ্ডীগড়ের মেয়ে হরনাজ কউর সান্ধুর মাথায় মিস ইউনিভার্সের মুকুট উঠতেই তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কৌতূহলের পারদ তুঙ্গে। এই বিশ্ব সুন্দরী একসময় ধারাবাহিকে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। ধারাবাহিকের নাম ছিল ‘উদারিয়াঁ’। সেখানেও তিনি একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে এখন তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে এই জয়কে উদ্‌যাপন করতে মরিয়া হরনাজ। তিনি জানান, ‘মাকে একবার জড়িয়ে না ধরা পর্যন্ত, আমার এই জয় অসম্পূর্ণ।’ বলিউড ছবিতে কবে তাঁকে দেখা যাবে জানতে চাইতেই হরনাজের উত্তর, ‘ভবিষ্যতে বড়পর্দায় আমার প্রতিভাকে তুলে ধরতে চাই৷’ তবে শুধু ভারতীয় ছবি নয়, আন্তর্জাতিক ছবিতেও অভিনয় করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘সিনেমার মাধ্যমেই সমাজের জগদ্দল পাথরগুলো সরাতে চাই। কারণ একবিংশ শতাব্দী দাঁড়িয়ে সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে মানুষ অনুপ্রাণিত হন। আমারও ইচ্ছে সিনেমায় বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে কথা বলে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা৷’

উল্লেখ্য, লারা দত্তের পর ২১ বছর কাটিয়ে ফের ভারত পেল আরও একজন মিস ইউনিভার্সকে। ২০০০ সালে শেষবার ভারত থেকে মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন লারা দত্ত। সেই বছরই জন্মেছিলেন হরনাজ। ইতিহাসের পাতায় সুস্মিতা সেন, লারা দত্তের পাশে তিন নম্বর নামটি যুক্ত হয়ে গেল— হরনাজ কউর সান্ধু। ৭৯টি দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়াই করে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা কেড়ে নিয়েছেন তিনি। শেষপর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ও প্যারাগুয়ের প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন হরনাজ। গত রবিবার সন্ধেবেলা হরনাজ ফোন করে মাকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের গর্বিত করব।’ এখন সেই কথাটাই পাঞ্জাবের খারারের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রবীন্দর কউর সান্ধুর কানে বাজছে। চণ্ডীগড়ে জন্ম এবং সেখানেই বড় হওয়া৷ এই শহর থেকেই স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন হরনাজ। এই ২১ বছরের মেয়েটিই ২০২১ সালের বিশ্ব সুন্দরী। মাত্র সপ্তাহখানেক আগে তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল এক লক্ষ। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই সংখ্যা ১০ লক্ষ ছুঁইছুঁই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *