করোনার হানা ‘গীতশ্রী’র শরীরে! স্থানান্তরিত করা হচ্ছে অন্য হাসপাতালে

করোনার হানা ‘গীতশ্রী’র শরীরে! স্থানান্তরিত করা হচ্ছে অন্য হাসপাতালে

cf0d620c6b3416c369b9ff7a4242b21f

কলকাতা: করোনা আক্রান্ত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে অন্য এক বেসরকারী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানা গেল। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। এদিন তাঁকে হাসপাতালে দেখতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই জানান এই কথা। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন- দিঘার হোটেলের ভয়াবহ আগুন, প্রাণ বাঁচাতে কার্নিশ থেকে ঝাঁপ পর্যটকদের!

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিড হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএমে রাখা যাবে না কারণ এখানে করোনার চিকিৎসা হয় না। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে হয়। সেখানে তাঁর পরিবার চিকিৎসা করাতে চেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তিনি চাইছেন সবচেয়ে ভালো জায়গায় যাতে তাঁর চিকিৎসা হয়। তাই তাঁকে অ্যাপোলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, হার্টের একটা সমস্যা দেখা দেওয়ায় তার চিকিৎসাই আগে প্রয়োজন। এর জন্য মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। সকলকে প্রার্থনা করতে বলেছেন যাতে তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। সকালের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে গ্রিন করিডর করে আনা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়৷ কিছুদিন আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পেয়েছিলেন তিনি৷ নিউমোনিয়াও ছিল তাঁর৷ গতকাল থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ আরও বেড়ে যায়৷ বুকে সর্দির প্রকোপও বাড়ে৷ গতকাল সন্ধ্যার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হতেই চিকিৎসার তৎপরতা শুরু হয়৷ খবর পেয়েই তাঁকে ফোন করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফোন ধরেন তাঁর কন্যা৷ তাঁর কাছ থেকেই সম্পূর্ণ খবর নেন৷ এর পর মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতাতেই তাঁকে তড়িঘড়ি এসএসকেএম-এর উডবার্ন হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছে ৯০ বছর৷ ফলে সে ভাবে আর বাড়ি থেকে বের হন না৷ সম্প্রতি তাঁকে পদ্মসম্মান দেওয়ার কথা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন৷ এর পর থেকে বহু ফোন এসেছে তাঁর কাছে৷ তাঁকে ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে হয়েছে৷ এবং এর পরেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন বলে পরিবার সূত্রে খবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *