তিয়াষা গুপ্ত: এককথায় অভাবিত। বাংলাদেশের ফলাফল দেখার পর যেকোনো কারো এই প্রতিক্রিয়া হওয়াই স্বাভাবিক। আওয়ামি লিগের বিপুল জয়জয়কার। বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ভেঙে টানা তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় শেখ হাসিনা ( আগে আরও একবার)। একথায় রেকর্ড করেছেন মুজিব কন্যা। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা যে এভাবে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে তা সম্ভবত তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার ভোট দিয়ে আঙুল তুলে বিজয় চিহ্ন দেখিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার ফ্ল্যাশে তখনই খুশির আভাস ধরা পড়ে তাঁর মুখে। সাংবাদিকদের বললেন, মানুষ যে রায় দেবেন, তা মাথা পেতে নেবেন। তিনি নিশ্ছত সাধারণ মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে তাঁদের জয়ী করবেন। শেষপর্যন্ত তাই হল। এবার দেখা যাক, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইতিবৃত্ত। শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা, বাংলাদেশের জাতির জনক ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা।
পড়াশুনো ও ব্যক্তিগত জীবন
শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ওয়াজেদ মিঞার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ২০০৯ সালে ওয়াজেদ মিঞার মৃত্যু হয়। তাঁদের ২টি সন্তান রয়েছে।
রাজনৈতিক কর্মজীবন
তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন প্রায় ৪ দশকেরও বেশি। তিনি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ ও ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামি লিগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
আন্দোলন
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল আওয়ামি লিগের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। অনেক আন্দোলন ও লড়াইয়ের নাম শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় গ্রেনেড হামলায় এই নেত্রী অল্পের জন্য বেঁচে যান। এই হামলায় তাঁর বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামি লিগ নেত্রী আইভি রহমান সহ ১৯ জন মারা যান।
গ্রেফতার
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন ২০০৭ সালে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌথবাহিনী ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সকাল সাতটা নাগাদ তাঁর বাসভবন সুধাসদন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২টি আভিযোগে মামলা দায়ের হয়। একটি হল ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর পল্টনে রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্য হত্যা মামলা। অন্যটি হল প্রায় ৩ কোটি টাকার চাঁদাবাজি মামলা।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
শেখ হাসিনা ২০১১ সালের বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় সপ্তম স্থানে জায়গা করে নেন। হাসিনার আগে ছিলেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালেন জনসন সার্লেফ ও পরে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জোহানা সিগার্ডারডটির।
ভারতের সঙ্গে বন্ধুতা
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামি লিগের সঙ্গে ভারতের অনেক দিনের সম্পর্ক। একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ ভারতের জন্য প্রয়োজন। বাংলাদেশ রাজনৈতিক ভাবে অস্থির হলে, তা ভারতকেও প্রভাবিত করবে। ২০০৯ সালে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের একের পর এক ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে শেখ হাসিনার সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে, সেটি ভারতের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী দিনে হাসিনার সৌজন্যে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নৌকায় সওয়ার করে কোন উপকূলে গিয়ে ঠেকে, সেই দিকে নজর থাকবে গোটা দেশের।