মুম্বই: নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম৷ ছোট থেকে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই৷ সেই যশই এখন দক্ষিণের সুপারস্টার৷ পর্দা কাপাচ্ছেন রকি ভাইয়ের বেশে৷ উপার্জন করেছেন কোটিতে৷ একের পর এক রেকর্ড গড়ছে তাঁর কেজিএফ-২৷ সুনামি এসেছে বক্সঅফিসে৷
আরও পড়ুন- রুদ্রনীলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক! ৭০ হাজার টাকায় বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ
তথাকথিত সোনার চামক মুখে দিয়ে জন্ম হয়নি তাঁর৷ বরং প্রথম জীবন ছিল বেশ কষ্টের৷ স্ট্রাগল কাকে বলে, তা ভালোমতোই জানেন তিনি৷ বাবা ছিলেন বিএমটিসি-র বাস চালক৷ মা গৃহবধূ৷ কিন্তু, ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হওয়ার৷ ভালোবাসতেন অ্যাটেনশন পেতে৷ একটি সাক্ষাৎকারে যশ একবার নিজে বলেছিলেন, ‘‘সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগীতায় অংশ নিতাম। নিয়মিত নাচ করতাম। নাচ করতে খুব ভালো লাগত। শুরুটা হয়েছিল এভাবেই। সেখান থেকে আজ আমি এই জায়গায়।”
যশের জন্ম মহীশূরের হাসান গ্রামে৷ সেখানেই বেড়ে ওঠা৷ আর্থিক অস্বচ্ছ্বলতার মধ্যেই দিন কেটেছে তাঁর৷ অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন৷ তবে হার মানেননি৷ অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে এক সময় বাড়ি ছাড়েন৷ সেই সময় তাঁর পকেটে ছিল মাত্র ৩০০ টাকা৷ সেই সময় তাঁর নাম ছিল নবীন কুমার গৌঢ়া৷ এর পর নিজের চেষ্টায় কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে পায়ের জমি শক্ত করেছেন৷ হয়ে ওঠেছেন যশ৷ দাপটের সঙ্গে কাজ করার পর তিনি এখন Pan Indian Star৷ বেঙ্গালুরুর সুদৃশ্য ডুপ্লেক্সে তাঁর আবাসস্থল৷
যশের কথায়, ‘‘যদি বলি আমি শুধু অভিনেতা হতে চাইতাম, তাহলে ভুল বলা হবে। আমি সুপারস্টার হতে চায়েছিলাম। কখনও ভাবিনি অভিনয় এতটা কঠিন কাজ। যখন স্কুল-কলেজে যেতাম তখন শিক্ষকেরাও আমাকে ‘হিরো’ বলে ডাকতেন। আমার ভালো লাগত। আসলে তখন ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতাম। তাইতো শিক্ষকরা বলতেন, ছবি কই?”
হাসান গ্রামের ছেলে যশ এখন ৩৮ কোটি টাকার মালিক। সম্পত্তির নিরিখে আরও এক দক্ষিণী তারকা প্রভাসের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে৷ তবে দেখতে গেলে প্রভাস যশের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, ছবি পিছু দু’ কোটি টাকা চার্জ করেন দক্ষিণী এই তারকা। প্রতি মাসে তাঁর রোজগার গড়ে ৫০ লক্ষ টাকা। বার্ষিক আয় পাঁচ কোটির কাছাকাছি। ছবির পাশাপাশি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং প্রোমোশন থেকেও হয় মোটা টাকার উপার্জন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>