কলকাতা: অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুতে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে ত্রিকোণ প্রেমের জট৷ পল্লবী-সাগ্নিক-ঐন্দ্রিলার সম্পর্কের সমীকরণেই কি লুকিয়ে রয়েছে অভিনেত্রীর মৃত্যুর রহস্য? প্রথমসারির এক সংবাদপত্রে পল্লবীর বন্ধু সায়ক চক্রবর্তীর দাবি উস্কে দিল সেই জল্পনাকেই৷ সায়কের দাবি, ঐন্দ্রিলা মিথ্যে কথা বলছে৷ ঐন্দ্রিলা বলেছিল, ও নাকি সাগ্নিককে খুব অল্প দিনই চেনে৷ কিন্তু তেমনটা নয়৷ কারণ পল্লবীর সঙ্গে একত্রবাসের বর্ষপূর্তিতে সঙ্গীনির জন্য সোনার হার কিনতে গিয়েছিলেন সাগ্নিক৷ সেখানে তাঁর সঙ্গী ছিলেন ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- রাজারহাটে কল সেন্টার চালাতেন সাগ্নিক! পল্লবী-মৃত্যুতে ঘনীভূত রহস্য
পল্লবীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল সায়কের৷ তিনি জানান, পল্লবী তাঁকে খুব সম্মান করত৷ নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথাও শেয়ার করত৷ পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদেই সাগ্নিকের সঙ্গে পরিচয় ছিল তাঁর৷ পল্লবী আর সাগ্নিকের লিভ ইন রিলেশনের বর্ষপূর্তিতেও তিনি ছিলেন দুই পক্ষেরই আমন্ত্রিত৷ অভিনতা আরও জানান, পার্টির আগে হোয়াটসঅ্যাপ করে তাঁর কাছ থেকে ফ্যাশন ডিজাইনারদের যোগাযোগের নম্বর জানতে চায়েছিলেন সাগ্নিক। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, তিনি আর পল্লবী একই রকম ডিজাইনার পোশাকে সাজবেন৷ সাগ্নিককে বেশ কিছু পোশাকশিল্পীর হদিশও দিয়েছিলেন তিনি।
সায়কের কথায়, লিভ ইন পার্টনারকে চমকে দিতে এলাহি আয়োজন করেছিলেন সাগ্নিক৷ বর্ষপূর্তির পার্টির আয়োজন করেছিলেন বাওয়ালি রাজবাড়িতে। সায়ক বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখে আমি ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তিনটি কটেজ ভাড়া নিয়েছিল সাগ্নিক। সেই সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার এলাহি আয়োজন।’’ শুধু এটুকুই নয়, বাকি ছিল আরও চমক৷ বড় কেক অর্ডার করেছিলেন সাগ্নিক৷ সেই কেকের ভিতরে লুকনো ছিল দামি আংটি৷ সায়ক জানান, তাঁর গাড়ি নেই। ওই দিন শ্যুটিং ফ্লোর থেকে সাগ্নিকের গাড়িই নিতে এসেছিল তাঁকে। আবার অনুষ্ঠানের পর বাড়িতে পৌঁছেও দিয়ে যায়৷’’ সাগ্নিকের খরচের বহর দেখে সে দিন চোখ কপালে উঠেছিল অভিনেতার। কী ভাবে এই রাজকীয় আয়োজনের খরচ জোগাচ্ছন সাগ্নিক? মনে প্রশ্ন জেগেছিল। কিন্তু পল্লবীর মুখ চেয়ে কোনও কথাই বলেননি অভিনেতা৷ তিনি জানান, হোটেল, রেস্তরাঁয় খাওয়া দাওয়া থেকে পার্টি এসব ভীষণই পছন্দ করতেন পল্লবী৷ তাঁর সকল সাধই পূরণ করত তাঁর লিভ ইন পার্টনার৷
চমকের এখানেই ইতি নয়৷ এত কিছু আয়োজনের পরেও প্রয়াত অভিনেত্রী পল্লবীকে সোনার হার উপহার দিয়েছিলেন সাগ্নিক। সায়ক জানান, প্রথম সারির সোনার গয়নার বিপণি থেকে পল্লবীর জন্য হার কিনতে গিয়েছিলেন সাগ্নিক। সে দিন তাঁর সঙ্গী ছিলেন ঐন্দ্রিলা। এবং পল্লবীর জন্য কেনা হার সবার আগে তাঁর বান্ধবীর গলাতেই শোভা পেয়েছিল। ঐন্দ্রিলার গলায় হার পরিয়েই সাগ্নিক দেখেছিলেন, হারটা কেমন মানাবে! সেই ছবিটি দোকান থেকেই সায়ককে পাঠিয়েছিলেন সাগ্নিক।