কলকাতা: টিভি অভিনেত্রী পল্লবী দের আকস্মিক মৃত্যুর পর মডেল তথা উঠতি অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যু হয়। তার একদিন যেতে না যেতেই উদ্ধার হয় আরও একজন মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ। তাঁর মায়ের দাবি তিনি বিদিশার ভাল বন্ধু ছিলেন এবং বিদিশার মৃত্যুর পর আরও হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যদিও এই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে কারণ বিদিশার বন্ধুরা দাবি করেছে যে সে মঞ্জুষাকে চিনতই না। ইস্যু যাই হোক না কেন, এখন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে মঞ্জুষার পরিবার। তাঁর স্বামীকে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। তিনি নিজেও এই ঘটনায় প্রচণ্ড আক্ষেপ করছেন।
আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন পরিণতি? মঞ্জুষার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
মাত্র ৬ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল রামনাথ এবং মঞ্জুষার। কিন্তু আগেই ছয় মাস পূর্তি হয়েছে তাদের। তখনও তিনি কোনও ভাবেই জানতে পারেননি যে মঞ্জুষার মনে কী চলছে। রামনাথ আক্ষেপ করে বলছেন, তিনি আগে যদি একবার টের পেতেন যে মঞ্জুষা এমন কিছু করার ভাবনা ভাবছে তাহলে পদক্ষেপ করতেন। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেন বা নিজেই কোনও রকম ব্যবস্থা নিতেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পেলেন না। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, মঞ্জুষা ভালো কাজের অনেক চেষ্টা করত, জায়গায় জায়গায় অডিশন দিত। তিনি তাঁকে অনেকবার অনেক জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু শেষে যে এই পরিণতি হবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্জুষার বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর স্বামী। মৃতার মায়ের দাবি, স্বামীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা-কাটাকাটিও হয়েছিল তাঁর। এরপর তাঁর স্বামী তাঁকে শ্বশুরবাড়ি ফেরত যাওয়ার জন্য জোর করলে তখনই তিনি স্বামীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘জোর করলে বিদিশার মতোই মরে যাব।’ ব্যস। তারপরেই তার মৃত্যুর খবর আসে।