হোটেলে ফিরে লিফ্টে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেকে, ঘরে ঢুকেই অজ্ঞান

হোটেলে ফিরে লিফ্টে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেকে, ঘরে ঢুকেই অজ্ঞান

কলকাতা: তিনি আর নেই৷ এখনও যেন কথাটা মেনে নিতে পারছেন না তাঁর অনুরাগীরা৷ বলিউডের তারকা শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে-র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সঙ্গীতমহল৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চ থেকে নামার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন কেকে৷ তাঁকে যখন ভিড় সমালে নজরুল মঞ্চ থেকে বার করে আনা হচ্ছিল, তিনি ছিলেন দৃশ্যতই বিধ্বস্ত৷ হোটেলে ফিরে লিফ্টে উঠে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন গায়ক। এর পর ঘরে ঢুকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেকে-র সঙ্গী ও হোটেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনটাই জানা গিয়েছে৷

আরও পড়ুন- কৈশরের প্রেমকে নিজের করে পেতে গান ছেড়ে সেলসের চাকরি নিয়েছিলেন ‘বেকার’ কেকে

নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসে মধ্য কলকাতার একটি পাঁচ তারা হোটেলে উঠেছিলেন কেকে৷ সেদিন অনুষ্ঠান শেষে অসুস্থ বোধ করার পর প্রথমে সেই হোটেলেই ফেরেন তিনি৷ সেখানে তিনি অজ্ঞানও হয়ে পড়েন৷ এ পরেই তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছনোর পর কেকে-কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে গায়কের ম্যানেজার জানান, হোটেলের ঘরে ঢোকার পর পড়ে গিয়েছিলেন  কেকে। মাথায় চোটও পেয়েছিলেন তিনি৷ কেকে-র আচমকা মৃত্যু নিয়ে জল্পনার মাঝেই বুধবার সকালে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। সেই সূত্রেই কেকের ম্যানেজার-সহ তাঁর বাকি সঙ্গী, হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা পুলিশ আধিকারিকরা। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেন তাঁরা৷ 

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই পুলিশ জানতে পারে, মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ নাগাদ হোটেলে ফেরেন গায়ক। লিফ্টে ওঠার পর মাথা নিচু করে রেখেছিলেন। লিফ্টের একটি হাতলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কেকে-র ম্যানেজার হিতেশ ভট্ট জানান, লিফ্ট থেকে নেমে হোটেলের ঘরে ঢুকে বসতে গিয়েই মাটিতে পড়ে যান শিল্পী। টেবিলের কোনায় লেগে মাথা কেটে যায় তাঁর। এর পরেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করে হোটেল কর্মীদের ডেকে আনেন হিতেশ৷ কিন্তু কারও সাড়াশব্দ মেলেনি৷ এরপর রিসেপশনে ফোন করে লোক পাঠাতে বলেন তিনি।

 
পুলিশ সূত্রে খবর, কেকে-র অসুস্থতার খবর পেয়েই দুই-এক জন করে হোটেলকর্মীরা ছুটে আসেন। তৎক্ষণাৎ ফোন করা হয় হোটেলের চিকিৎসককে৷ তিনিই গায়ককে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন৷ তাঁর পরমর্শেই সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কেকে-কে। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্যে অপেক্ষা না করে হোটেলের গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া তাঁকে৷ পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন হিতেশ। তবে শেষ রক্ষা আর হয়নি৷