কলকাতা: বলিউডের তারকা শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে-র মৃত্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ৷ কার্ডিয়াক অ্যাটাক অকালে কেড়ে নিল শিল্পীর প্রাণ৷ জানা গিয়েছে, ‘টিপিক্যাল হার্ট অ্যাটাক’ নয়, বরং কাল হল কেকে-র বাম দিকের ধমনীতে থাকা ৭০ শতাংশ ব্লকেজ৷ অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে সেই ব্লকেজ আচমকাই বেড়ে যায় এবং বন্ধ হয়ে যায় রক্ত চলাচল৷ যার পরিণতি কার্ডিয়াক অ্যা্টাক৷ এসএসকেএম-এর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন কেকে৷ কিন্তু তিনি আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেননি৷
আরও পড়ুন- হোটেলে ফিরে লিফ্টে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেকে, ঘরে ঢুকেই অজ্ঞান
কলকাতায় আসার পর শারীরিক অসুস্থতার কথা ফোন করে স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন কেকে। কিন্তু তিনি ছিলেন পুরোদস্তুর পেশাদার৷ তাই শত কষ্ট সত্ত্বেও নিজের ‘কমিটমেন্ট’ থেকে সরে আসেননি। দুটি লাইভ পারফরম্যািন্স করার মাঝে এমনকী দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী ম্যাানেজার হিতেশ ভাটকেও ঘুণাক্ষরে তাঁর অসুস্থতার কথা বুঝতে দেননি৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ‘টিপিক্যাল হার্ট অ্যাটাকে’ মৃত্যু হয়নি শিল্পীর। তাঁর চলে যাওয়ার অন্যতম কারণ ধমনী ও উপধমনীতে একাধিক ছোট ছোট ব্লকেজ৷ বিশেষ করে বাম দিকের মূল ধমনীতে ব্লকেজ ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ।
চিকিৎসকরা বলছেন, মঙ্গলবার রাতে শো’র পর অতিরিক্ত উত্তেজনায় তাঁর ধমনীতেই আচমকাই রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় শিল্পীর হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ‘সিপিআর’ দেওয়া যায়নি৷ সেটা করা হলে হয়তো বাঁচানো যেত তাঁকে৷ তেমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা৷
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চ ছিল ভিড়ে ঠাসা৷ তার উপর মঞ্চ জুড়ে আলোর ঝলকানি৷ একের পর এক গান গেয়ে চলেছেন কেকে৷ কিন্তু, গানের মাঝে মাঝেই বারবার রুমাল দিয়ে মুখ-কপালের ঘাম মুছছিলেন শিল্পী৷ মাঝে মধ্যে মাথাতেও বোলাচ্ছিলেন ওই রুমাল৷ বারবার মঞ্চের পিছনে গিয়ে ছোট বোতলে রাখা জল ঢালছিলেন গলায়৷ গান গাইতে গাইতেই হয়তো অসুস্থ বোধ করছিলেন কেকে৷ কিন্তু, কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়েই পারফর্ম করে যান৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>