মুম্বই: অনুরাগীরা এখনও মনে করেন তিনি ফিরে আসবেন, কিন্তু না। সেটা আর সম্ভব নয়। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন কৃষ্ণকুমার কুনাথ বা কেকে। কলকাতায় শো করতে এসেছিলেন হাসিমুখে। কলকাতা থেকে বিদায় নিলেন তিনি গোটা দেশকে কাঁদিয়ে। নজরুল মঞ্চে শো শেষ করার পরেই তিনি মারাত্মক অসুস্থ হন। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। গতকাল মুম্বই ফিরেছিল তাঁর মরদেহ। আজ সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। বাবার মুখাগ্নি করল ছেলে নকুল। চিতার আগুনে ভস্ম হল ‘প্রেমের গলা’র অধিকারী।
আরও পড়ুন- ধমনীতে ৭০% ব্লকেজ নিয়েই পারফর্ম, কেকে ছিলেন আদ্যন্ত পেশাদার
ভারসোভার পার্ক প্লাজায় তাঁর বাড়িতে কিছুক্ষণ থাকে কেকে’র মরদেহ, সেখানে আসেন ভক্তকূল, সহকর্মীরা। তারপর মুক্তিধাম শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। অসময়ে চলে গেলেন তিনি, রয়ে গেল তাঁর অগণিত হিট গান, সুর যা সকলের মুখে মুখে ফিরবে। কিন্তু অনেক কিছু করা বাকি রয়ে গেল কেকে’র। সেগুলো আর হয়ে উঠল না। এদিন কেকে’র বাড়িতে তাঁকে শেষ বার দেখতে ভক্তদের ভিড় হয়েছিল। এসেছিলেন তাঁর সহকর্মী, বন্ধুরা। দেখা গিয়েছে বলিউডের সঙ্গীতজগতের বিশিষ্টদের। কেকে’কে দেখতে এসেছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, সেলিম মার্চেন্ট, হরিহারান, জাভেদ আখতার, অনুপ জালোটা, অলকা ইয়াগ্নিক, উদিত নারায়ণ, রাহুল বৈদ্য, জাভেদ আলি, শিল্পা রাও সহ প্রমুখরা।
এদিকে কেকের মৃত্যু শোকের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। দেখা গিয়েছে, হোটেলের লবি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কেকে। কিন্তু, দেখা একটুকুও বোঝা যায়নি তিনি অসুস্থ৷ তবে ঘরে ঢুকতেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি৷ টেবিলের কোনায় লেগে মাথা কেটে যায় তাঁর৷ কেকে সংজ্ঞা হারাতেই হোটেলের কর্মীদের চিৎকার করে ডাকতে থাকেন তাঁর ছায়াসঙ্গী ম্যানেজার হিতেশ ভাট৷ ডাকা হয় হোটেলের চিকিৎসককেও৷ তাঁর পরামর্শেই তড়িঘড়ি কেকে-কে নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ৷