কলকাতা: প্রয়াত শিল্পী কেকে প্রসঙ্গে রূপঙ্কর বাগচির মন্তব্যে তোলপাড় নেটপাড়া৷ কলকাতায় কেকে-র শোয়ের আগে একটি ফেসবুক পোস্টে রূপঙ্কর বলেছিলেন ‘হু ইজ কেকে?’’ এই মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত বয়কটের মুখে শিল্পী৷ সেই রেশ কাটতে না কাটতেই একই কথার পুনরাবৃত্তি৷ এবার বিয়েবাড়িতে চরম অপমানিত হতে হল বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তকে৷ ভরা অনুষ্ঠানবাড়িতে তাঁকে শুনতে হল ‘হু ইজ স্বাগতালক্ষ্মী?’
আরও পড়ুন- বিয়ের আট বছর পরেও মেলেনি শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি, জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে স্বামী
গত বুধবার ছিল স্বর্ণাশিস মুখোপাধ্যায়ের বৌভাত৷ তিনি স্বাগতালক্ষ্মীর একজন অনুরাগী৷ তাঁর বৌভাতের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী৷ দমদম নাগেরবাজার এলাকায় ওই বিয়েবাড়িতে শিল্পীর আগমেনেই হইচই পড়ে যায়। প্রিয় শিল্পীকে কাছ থেকে পেয়ে সকলেই তখন আপ্লুত৷ বর-কনে’কে ভুলে সবাই স্বাগতালক্ষ্মীর সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পাত্রীর মা। আচমকাই তৈরি হয়ে যায় এক অদ্ভুত পরিবশ। অভিযোগ, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পীর দিকে আঙুল তুলে চিৎকার করে ওই মহিলা বলে ওঠেন, “হু ইজ স্বাগতালক্ষ্মী? বেরিয়ে যান এখান থেকে৷” চরম অপমানে সেই মুহূর্তে অনুষ্ঠানবাড়ি থেকে বেড়িয়েও যান শিল্পী।
এই বিষয়ে তিনি কি থানা-পুলিশের কথা ভাবছেন? প্রশ্ন করা হলে গায়িকা বলেন, ” না আমি এসব কিছুই করব না। আমার ছাত্রছাত্রীরাই আসলে এই বিষয়টা নিয়ে খুব রেগে রয়েছে। তবে আমার মনে হয় পাত্রীর মা হয়তো সুস্থ নন৷ নাহলে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে এই রকম আচরণ কেউ কখনও করেন না।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই তৎক্ষণাৎ পুলিশে অভিযোগ করতে চেয়েছিলেন বলেও জানা তিনি। কিন্তু, স্বাগতালক্ষী তাতে রাজি হননি৷ সেই মহিলা বয়সে অনেকটাই প্রবীণ। তাছাড়া সেদিন বৌভাতের অনুষ্ঠান চলছিল৷ পুলিশ এলে সমস্যা তৈরি হত৷ অনুষ্ঠানে শিল্পীর অনেক ছাত্রছাত্রীও উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনায় তাঁরাও হতাশ।
এক সংবাদমাধ্যমকে স্বাগতালক্ষ্মী বলেন, ‘ওই মহিলা কি রূপঙ্করের ভিডিও দেখে প্রভাবিত হয়েছেন?’ জানি না৷ তিনি বলেন, এগুলি আদতে মানুষের বিবেচনার বিষয়। ওই মহিলার শুভবুদ্ধির উদয় হোক, এটাই প্রার্থনা করি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>