কলকাতা: নীল সাগর পাড়ে নীলের চোখে চোখ রেখে ভালোবাসার দুনিয়ায় পাড়ি দিলেন তৃণা৷ হৃতিক-আমিশার সুপারহিট ছবি ‘কহো না প্যার হ্যায়’-এর টাইটেল ট্র্যাকে চরম রোম্যান্সে মজলেন ছোট পর্দার এই লাভ বার্ডস৷ পাহাড় ঘেরা সেই সাগরের হাতছানিতে রোম্যান্টিক মুডে কাছাকাছি এলেন নীল-তৃণা৷
আরও পড়ুন- চলে গেলেন বিখ্যাত গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং, ৮২ বছরে প্রয়াত ‘নাম গুম’ গায়ক
রিল লাইফের মতো রিয়েল লাইফেও জনপ্রিয় তাঁদের জুটি৷ এই মুহূর্তে ছোট পর্দায় তাঁরা এক ফ্রেমে ধরা না দিলেও টলিপাড়ার পাওয়ার কাপল নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা লেন্সবন্দি হলেন থাইল্যান্ড ট্যুরে গিয়ে৷ আর সেখান থেকে ভক্তদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করবেন না, তা আবার হয় নাকি? এমনিতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সক্রিয় মিয়া-বিবি৷ তৃণার সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলিতে ঢুঁ দিলেই দেখা মিলছে তাঁদের রোম্যান্টিক মুহূর্তের ঝলক। এরই মধ্যে সাগর পাড়ের মনোরম পরিবেশে প্রেমের জোয়ারে ভাসল এই স্টার কাপল। কহো না প্যার হ্যায়-এর রোম্যান্টিক সুরে তৃনীলের প্রেমের খেলায় মজেছেন নেটিজেনরাও।
সম্পর্ক থেকে প্রেম, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনই রাখঢাক করেননি নীল-তৃণা৷ বরং তাঁদের জীবন অনেকটাই খোলা বইয়ের পাতার মতন। ব্যক্তিগত জীবনের সুন্দর সুন্দর মুহূর্তগুলি তাঁরা অবলীলায় ভাগ করে নেন ভক্তদের সঙ্গে৷ তৃণার ইনস্টা হ্যান্ডেল জুড়ে তাঁদের থাইল্যান্ড ট্যুরের রোম্যান্টিক মুহূর্তের উঁকিঝুঁকি৷ আর এই রোম্যান্টিক ভিডিয়ো শেয়ার করতেই তারকা জুটিকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভক্তরা৷
ওয়েস্টার্ন লুকে বরাবরের মতোই তৃণা ছিলেন নজরকাড়া। নীল ছিলেন সাদা গেঞ্জি আর শর্টসে৷ থাইল্যান্ডে নীল-তৃণার নাচ দেখে অনেকেই হৃত্বিক-আমিশার সেই রোম্যান্সের নস্ট্যালজিয়ায় গা ভাসিয়েছেন৷
সংসার আর কর্মজগত দুটোই খুব সুন্দরভাবে সামলাচ্ছেন তৃণা। ব্যস্ততার ফাঁকেই বরের হাত ধরে তিনি বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। আপাতত থাইল্যান্ডে নীলের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী। এরই মধ্যে শোনা গিয়েছিল, ছোট পর্দার গুনগুন নাকি বলিউডে পাড়ি দিতে চলেছেন। অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে অভিনয় করবেন বলে শুরু হয়েছিল কানাঘুষো৷ পরে অবশ্য এই বিষয়ে তৃণা জানান, একটি অ্যাপের ক্যাম্পেনের জন্য মুম্বই উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রত্যের শহর থেকেই প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। সেখানেই তৃণার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর সিদ্ধার্থের। অভিনেত্রীর কথায়, “ওখানে গিয়ে সিদ্ধার্থের সঙ্গে আলাপ। কথা বলে জানতে পারি সিদ্ধার্থও রিল বানাতে ভালোবাসে। ব্যাস! তার পরেই একসঙ্গে রিল বানিয়ে ফেললাম।”