বেসরকারিকরণ এবার স্বাস্থ্যেও! সরকারি স্বাস্থ্য বিমায় বেসরকারি দখল

নয়াদিল্লি: আরও বেশী সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতালকে সরকারি স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচিতে যুক্ত করতে এবার অতিরিক্ত অনুদান দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতে, এটিই সম্ভবত বিশ্বের সবথেকে বড় ক্ষেত্র পরিষেবা পাবেন সাধারণ জনতা৷ যেখানে একদিকে দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যপরিষেবা ব্যয়বহুল অথচ জরাজীর্ণ সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীর অত্যধিক চাপ৷ সেখানে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কারের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী

বেসরকারিকরণ এবার স্বাস্থ্যেও! সরকারি স্বাস্থ্য বিমায় বেসরকারি দখল

নয়াদিল্লি: আরও বেশী সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতালকে সরকারি স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচিতে যুক্ত করতে এবার অতিরিক্ত অনুদান দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতে, এটিই সম্ভবত বিশ্বের সবথেকে বড় ক্ষেত্র পরিষেবা পাবেন সাধারণ জনতা৷ যেখানে একদিকে দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যপরিষেবা ব্যয়বহুল অথচ জরাজীর্ণ সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীর অত্যধিক চাপ৷ সেখানে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কারের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন পরিকল্পনা সমালোচিতও হয়েছে৷

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মোদিকেয়ার’ প্রকল্পে গুরুতর অসুস্থতার জন্য পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা দেওয়া হচ্ছে৷ যা ভারতের মতো দেশের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ৷ সেখানে এই প্রকল্পটি সেই অর্থে রূপায়িত করা যাচ্ছে না৷ এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের অধিকর্তা ইন্দুভূষণ জানিয়েছেন, শুধু মাত্র জনসচেতনতার অভাব ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির অংশীদারিত্ব কম থাকায় ভারতে এপর্যন্ত অন্তত ৫ লক্ষ উপযুক্ত ভোক্তাদের মধ্যে থেকে মাত্র ২০শতাংশ মানুষকে বিমার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে জনসচেতনতা ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর ওপরে জোর দিতে হবে৷ এখনও পর্যন্ত এই বিমার আওতায় ৬০ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়েছে৷ এই বিমার আওতাধীন হাসপাতালগুলির মধ্যে ৬০শতাংশ বেসরকারি৷ এই সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে৷

তবে বিমার আওতায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিজেদের খরচের বিষয়ে চিন্তিত বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ কিছুদিন আগেই ফিককি এবং ই-ওয়াইয়ের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে চলতি অর্থবছরের আগস্টে মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বিমার আওতায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তাদের খরচের ৪০ থেকে ৮০শতাংশ ভর্তুকিদেওয়া হয়েছে৷

বেসরকারিকরণ এবার স্বাস্থ্যেও! সরকারি স্বাস্থ্য বিমায় বেসরকারি দখল

এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিকর্তা ইন্দুভূষণ জানিয়েছেন, হাসপাতাল, শিল্প সংস্থা এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে চিকিৎসায় খরচের হারগুলি সংশোধন করার চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ৷ যদিও গত মাসে কিছু কিছু চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলিকে দেওয়া ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

ইন্দুভূষণ বলেন, প্রকল্প রূপায়ণের গতি থেকেই বোঝা যায় যে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অর্থ উপযুক্ত পরিমানে খরচ হচ্ছে না৷ তবে চলতি অর্থবছরে মার্চ মাস পর্যন্ত বরাদ্দ ৬২০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০০-৫৫০০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য মাত্রা রাখছে স্বাস্থ্য বিভাগ৷ পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে সরকারী স্বাস্থ্য বিমাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী স্বাস্থ্য অধিকর্তা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + 20 =