কাজের চাপ হোক কিংবা আজকালের লাইফস্টাইল কেড়ে নিচ্ছে ঘুম। এই অভিযোগ অনেকেই তোলেন। সময়ে অসময়ের সেই কথা হয়তো স্বীকার করেছেন আপনিও। অথচ ঢের বোঝেন, শরীরে ঘুমের প্রয়োজন কতটা। তবুও দিনরাত রাতদিন নির্ঘুম বা সামান্য ঘুমেই কাটছে জীবন। কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ বিশ্ব ঘুম দিবস। আজ বিশেষ দিন বলে নয়, পর্যাপ্ত ঘুম সবসময়ই দরকার। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠে না। জ্ঞানত অবহেলা করা হয় বিষয়টিকে। এমনই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। চিকিৎসক সৌরভ দাসের কথায়, 'সংখ্যার বিচারে শহরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে এর চেয়ে বড় অসুখ আর কিছু নেই। ঘুমের সমস্যা তাঁদের রোজনামচায় নানা প্রভাব ফেলে চলেছে প্রতিনিয়ত। অথচ তাঁরা তা নিয়ে চিন্তিত নন। উলটে দৈনন্দিন জীবনে ঘুমকেই সবচেয়ে বেশি অবহেলা করা হয়। ঘুমের সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘড়ি ধরে ঘুমোতে যাওয়া ও উঠে পড়া যে সবচেয়ে জরুরি, তা কেউ মেনে চলেন না।' আবার অনেকে ঘুমোলেও নাক ডাকার ব্যারামে ভোগেন। সেই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর দত্ত বলেন, 'প্রবল নাক ডাকা যে ভাল না, আদতে অত্যন্ত খারাপ ঘুমের লক্ষণ, তা এখনও অনেকেই বুঝতে চান না। অথচ ১৩.৭ শতাংশ মানুষ এই অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগেন।' এর কারণ হিসেবে বর্তমান সময়ের টিভি, ট্যাব কিংবা মোবাইলকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। তাঁদের পরামর্শ, ঘুমোতে যাওয়ার অনেক আগে থেকেই টিভি, ট্যাব, মোবাইল ইত্যাদির নীল আলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা দরকার। বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়েও যদি ঘুম না আসে তবুও ওই সব ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রয়োজনে বই পড়া, গান শোনা বা অন্য কোনও অবসরকালীন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে। কিন্তু টিভি-ট্যাব-মোবাইল? নৈবে নৈব চ। মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই।