কলকাতা: “কররোনো ভাইরাসের আতঙ্ক নয়, গোমূত্র পাণ নয়, সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন”- জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিতেই সংবাদ মাধ্যমে সচেতনতা মূলক একটি বিবৃতি প্রকাশ করল ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির পশ্চিমবঙ্গ শাখা।
বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোভিড-১৯ করোনা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত একটি নতুন ধরণের ভাইরাস। সাধারণ সর্দি-কাশি, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সারস এইসমস্ত ভাইরাসগুলিও করোনা গোষ্ঠীরই অন্তর্ভুক্ত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে নতুন করোনা ভাইরাসের গঠন পুরনো ভাইরাসগুলির থেকে কিছুটা আলাদা। তাই এই সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী মহামারীর আকার ধারণ করলেও এখনো পর্যন্ত এই রোগের কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক খুঁজে বের করতে পারেননি গবেষকরা। প্রতিটি দেশেই গবেষণা চলছে।
বিবৃতিতে যে বিষয়গুলির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে সেগুলি হল-
কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের হাঁচি,কাশির তরলকণার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ওই ভাইরাস কোনো আসবাবপত্রের ওপর পড়লে তা দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে।
ওই আসবাবপত্র থেকে হাত,চোখ, মুখ,নাক দিয়ে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে বারবার সাবান জলে হাত ধুয়ে নিলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করে তাকে অন্যান্য মানুষের সংস্পর্শ থেকে আলাদা করে রাখলেই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তবে টিভি,ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়ার মত রোগের তুলনায় এই রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কম (৩.৪%) বলে আশ্বস্ত করেছে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি।
অন্যদিকে, এই রোগের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্ক এবং অবিজ্ঞান সম্মত ওষুধ নিয়ে মে কালোবাজারি শুরু করেছে তার তীব্র সমালোচনা করেছে ব্রেকথ্রু।
তাঁদের মতে কিছু সংখ্যক ভন্ড ও প্রতারক গোষ্ঠী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গোমূত্র পান ও গোবর জলে স্নানের নিদান দিয়ে যেভাবে ভুল বোঝাচ্ছে তাতে মানুষের ক্ষতির আশঙ্কা আরও বেড়ে যাচ্ছে বলেও পরিস্কার জানিয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবী বিজ্ঞান ভিত্তিক সংগঠন।
এক্ষেত্রে সরকারি সংস্থা 'আয়ূষ' কোনো পরীক্ষা-নীরিক্ষা ছাড়াই যেসমস্ত আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছে এবং সেই সুযোগে ওষুধের দোকানগুলিও মুনাফার কথা ভেবে অবিজ্ঞানসম্মত কারবার চালিয়ে যাচ্ছে তারও তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছে ব্রেকথ্রু।
করোনা প্রতিরোধে নমুনা পরীক্ষার জন্য আরও বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবি জানিয়েছে এই সংগঠন। বিদেশ থেকে আগতদের স্বেচ্ছায় করোনা পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছে তারা।
পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, অপপ্রচার ও অন্ধবিশ্বাসে আমল না দিয়ে সরকার ও স্বাস্থবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে সুস্থ-স্বাভাবিক স্বাস্থবিধি মেনে লাল জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি।