নয়াদিল্লি: সম্প্রতি চীন জানিয়েছে যে, সেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই। অথচ করোনা নিয়ে আতঙ্কে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ। প্রতিষেধক নিয়ে ধন্দ কাটেনি এখনও। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ম্যালারিয়া-প্রতিরোধী ওষুধই করোনা মোকাবিলায় হয়ে উঠতে পারে 'গেম চেঞ্জার'। সম্প্রতি ফ্রাসের গবেষকদের মুখেও শোনা গেছে একই কথা।
চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন করোনা মোকাবিলায় রেট্রোভাইরাল ওষুধের কথা বলেছিলেন। এই ওষুধটি মূলত এইডস আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়। তবে এই প্রসঙ্গে তিনি ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধী ওষুধের কথাও বলেছিলেন। এদিকে ফ্রান্সের গবেষকদল ৩০ করোনা-আক্রান্তের ওপর চালিয়েছিল একটি গবেষণা। অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ করা হয়েছিল রোগীদের ওপর। সেখান থেকেই উঠে এসেছে এই তথ্য। গবেষকরা জানিয়েছেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এই চিকিৎসায় ইতিবাচক ফল দিয়েছে। তবে অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর কম্বো আরও বেশি কার্যকরী বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়ও শোনা গেছে একই সুর। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধই যে এই ভাইরাস রুখতে 'গেম চেঞ্জার'-এর ভূমিকা নিতে পারে, তা জানিয়েছেন। এই ওষুধটি মূলত ম্যালেরিয়া প্রতিরোধেই ব্যবহার করা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমরা খুবই ভাল ফল পেয়েছি। আশাকরি, আমরা ওই ড্রাগ শিগগিরই সহজলভ্য হবে। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) দারুণ কাজ করেছে। অনুমোদন প্রক্রিয়া চলছে।' এছাড়াও করোনার মতো ভয়ানক ভাইরাস মোকাবিলার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধের সন্ধানে আমেরিকা যে সচেষ্ট রয়েছে, সেই কথাও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মানসরঞ্জন ভুঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অনেক দেশই একই ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীনের মতো দেশগুলি মূলত এইডস-এর চিকিৎসায় রেট্রোভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করে। অতি সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে ক্লোরোকুইন।' ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের আমাদের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে বিশেষ তদন্তে নিয়োজিত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বেশ কিছু করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে এই ওষুধ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও যে কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, একই কথা শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বয়ানে।