টার্গেট পূরণ করতে না পারায় হামাগুড়ি শপিংমলের মহিলা কর্মীদের

একবার ভাবুন তো বেসরকারি চাকুরে হিসেবে নতুন বছরে ঠিক কী কী রেজোলিউশন নিয়েছেন। বসের নির্দেশ অমান্য করবেন না,যেভাবেই হোক মাসের পঁচিশ তারিখ হওয়ার আগে টার্গেট পূরণ করবেন,সময়ে অফিসে ঢুকবেন, নিট অ্যান্ড ক্লিন পোশাক থাকবে। ওফ! কত কী, আর টার্গেট পূরণ যদি না হয় তো বসের কাছে গালাগালি শোনাটাকে উপরি হিসেবে ধরে নেবেন।তারপর অফিস থেকে বেরিয়ে

টার্গেট পূরণ করতে না পারায় হামাগুড়ি শপিংমলের মহিলা কর্মীদের

একবার ভাবুন তো বেসরকারি চাকুরে হিসেবে নতুন বছরে ঠিক কী কী রেজোলিউশন নিয়েছেন। বসের নির্দেশ অমান্য করবেন না,যেভাবেই হোক মাসের পঁচিশ তারিখ হওয়ার আগে টার্গেট পূরণ করবেন,সময়ে অফিসে ঢুকবেন, নিট অ্যান্ড ক্লিন পোশাক থাকবে। ওফ! কত কী, আর টার্গেট পূরণ যদি না হয় তো বসের কাছে গালাগালি শোনাটাকে উপরি হিসেবে ধরে নেবেন।তারপর অফিস থেকে বেরিয়ে কোনও বারে ঢুকে তরল সহযোগে দুঃখ যাপন আর কঠোর বসকে একহাত নেওয়া। আরে আপনি তো সুখে আছেন,জানেন কী টার্গেট পূরণ করতে না পারলে চিনের বেসরকারি চাকুরেদের কী হাল হয়। শুনলেও চমকে যাবেন।

টার্গেট পূরণ করতে না পারায় হামাগুড়ি শপিংমলের মহিলা কর্মীদেরপূর্ব চিনের জাওঝুয়াং প্রদেশের টেনঝো শহরেরএক শপিংমলের মহিলা কর্মীদের হামাগুড়ি দেওয়ালেন বস। তাঁদের অপরাধ মান্থলি টার্গেট পূরণ করতে পারেননি, তাই শাস্তি। একেবারে ছমাসের বাচ্চার কায়দায় প্রকাশ্য রাস্তায় শপিংমলের নিজস্ব পোশাক পরা মহিলারা হামাগুড়ি দিলেন।আদৌ নির্দেশ মেনে হামাগুড়ি দিচ্ছেন কি না তা দেখার জন্য কয়েকজন পুরুষ সহকর্মী পাহারায় থাকলেন। তাদের মধ্যে দুজন আবার হামাগুড়ির ভিডিও তুললেন।সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিষয়টি নজরে এসেছে।তবে আমাদের দেশে যদি কোনও কর্মীর সঙ্গে মালিকপক্ষ এমন অন্যায় আচরণ করতো তবে তার ফল বেশ কঠিন হত।মানবাধিকার সংগঠন,পুলিশ, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রীরা ওই কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্ট শপিংমলেই তালা ঝুলিয়ে দিতেন। টেনঝো শহরে কিন্তু তা ঘটেনি, আসলে চীনের সামাজিক পরিকাঠামো তো একটু ভিন্ন প্রকৃতির, তাই কর্মীরা নির্দ্বিধায় শাস্তি মাথায় তুলে নিয়েছেন।

জানা গিয়েছে টার্গেট পূরণের জন্য চিনের কর্মীরা সারাদিন প্রায় না খেয়ে নিদারুণ পরিশ্রম করেন। চেহারা,অসুস্থতা কোনওদিকেই লক্ষ্য করেন না। চাকরি বাঁচাতে এসব করতেই হয়। আর যদি প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্টের সময় আসে তখন এই প্রবণতা এতোটাই ভয়ঙ্কর হয়ে যায় যে অনেকেই কর্মক্ষেত্রে অসুস্থহয়ে পড়েন।বলা বাহুল্য, মালিকপক্ষের এই অসাধু আচরণ ও নিয়মের বিরুদ্ধে কোনওরকম নাক গলায় না সে দেশের প্রশাসন। তাই এই প্রহসন চলতেই থাকে। জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে অনলাইনে মার্কেটিং যত জনপ্রিয়হচ্ছে, ততই নামিদামী শপিংমল গুলির বিক্রিবাট্টা কমে যাচ্ছে। এই ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়ছেন শপিংমলের মালিকরা। ব্যবসা বাড়াতে কর্মচারীদের উপরে টার্গেটের বোঝা চাপাচ্ছেন,তারপরেও যদি দেখেন লাভের গুড় পিঁপড়ের পেটে যাচ্ছে, তখনই কর্মীদের উপরে নেমে আসছে শাস্তির খাঁড়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 15 =