পুনে: ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ড আবিষ্কৃত প্রতিষেধক প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে সাফল্য পাওয়া পেয়েছে। সোমবার এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাসী আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে। ভারতবাসীর মনেও আশার সঞ্চার হয়েছে। সেই আশার পারদ আরও বাড়িয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, অক্সফোর্ড করোনার যে প্রতিষেধক তৈরি করেছে, তা ডিসেম্বরে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে ব্যর্থ N95 মাস্ক! সুরক্ষিত থাকতে নতুন উপায় কেন্দ্রের
সেরাম ইনস্টিটিউড অব ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে পুনের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। তার আগে ভারতে এই প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ে ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ হবে। ভারতের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটা দেশে হবে মনুষ্যদেহে পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া গেলেই সেরাম করোনার প্রতিষেধক উৎপাদন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকে শুরু কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়াল, আশায় বুক বাঁধছে চিকিৎসকমহল
কোভিশিল্ড ভারত ও ব্রিটেনের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হতে চলেছে। আদর পুনাওয়ালা মনে করছেন, ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে বেশিরভাগ ভারতীয় করোনা ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন। ভারতে এই ভ্যাকসিনের দাম হবে প্রায় এক হাজার টাকা। তিনি জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের এখন তৃতীয় পর্যায়ে হিউম্যান ট্রায়াল বাকি আছে। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, প্রথম দুটো পর্যায়ে যে হারে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে একই হারে সাফল্য পাওয়া যাবে।