নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য বিমার পরিকাঠামোয় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছে। বর্তমানে মানুষ স্বাস্থ্য বিমাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি ভারতী অ্যাক্সার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৫ শতাংশের বেশি মানুষই লকডাউনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ও গুরুতর অসুস্থতার জন্যে বিমা পরিকল্পনা একসঙ্গে চাইছেন।
আরও পড়ুন: মহামারীর সুযোগে নয়া ব্যবসা! ভাইরাস রুখতে অ্যান্টি-করোনা ফ্যাব্রিক আনল সিয়ারামস
তবে এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা আলাদা রাখতে চেয়েছেন। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনা ও লকডাউনের জন্য প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ সংকটকালীন পরিস্থিতিতে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মোকাবিলায় অতিরিক্ত বিমা পরিকল্পনার তাৎপর্য অনুধাবন করতে পেরেছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৫ শতাংশ মানুষ যেখানে জীবন বিমা পাওয়ার কথা ভেবেছিলেন, সেখানে চিকিৎসায় ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এবং নিয়মিত আয় ব্যাহত হওয়ায় অনেকেই স্বাস্থ্য বিমা পরিকল্পনা করতে চেয়েছেন।
ভারতী অ্যাক্সার এই সমীক্ষা ২৩০০ জনের ওপর করা হয়। সেখানে ৩০ শতাংশ বেতনভোগী অতিরিক্ত বিমা করাতে চেয়েছেন। ৫০ শতাংশ উত্তরদাতা অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা বলেছেন। এই ৫০ শতাংশ উত্তরদাতাদের বেশিরভাগই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সমীক্ষায়। দেখা গেছে, কঠিন পরিস্থিতিতে জীবন বিমার কথাই সর্বপ্রথম মানুষের মাথায় এসেছে। অন্যদিকে সংকটময় পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিমাকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে চিহ্নিত করেছে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চাহিদা স্পষ্টতর হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ল আভ্যন্তরীন বিমান পরিষেবায় নিয়ম বিধি, কেন্দ্র নির্ধারিত ভাড়া বহাল থাকবে ততদি
করোনার প্রভাবে লকডাউনের জন্য বিমা পরিকল্পনার সচেতনতা সম্পর্কে সামগ্রিকভাবে জনগণের মানসিকতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। স্বাস্থ্য বিমার পরিকল্পনা বেশিরভাগ উত্তরদাতাদের পছন্দের দিক হয়ে উঠেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সুদের হারের গ্যারান্টিসহ স্বাস্থ্য বিমায় বিনিয়োগকারিদের সামনে বর্তমানে নতুন বাজার খুলে গিয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্য বিমা সম্পর্কিত ক্ষেত্রে ৫০.৪ শতাংশ গ্রাহকরা ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য বিমা করাতে চাইছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়াম আদায় বার্ষিক ভিত্তিতে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বল্পমেয়াদি বিমাগুলি করোনা ভাইরাসের আবহে অস্থির পরিস্থিতিতে নতুন বিকল্প হিসাবে হাজির হয়েছে, সমীক্ষায় এমনই জানিয়েছে ভারতী অ্যাক্সা। কোভিড-১৯ জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। মানুষ বর্তমানে বিমা সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে, তারা দীর্ঘমেয়াদি বিমাকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে।