নয়াদিল্লি: প্রাথমিক পরীক্ষায় সফলতার ইঙ্গিত। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি)র অংশীদারিত্বে ভিত্তিতে ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন নিরাপদ বলেই দাবি করলেন গবেষকরা। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরেই শুরু হয়ে এর যাবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ বলে উল্লেখ করে, পিজআই রোহতাকে কোভ্যাকসিনের ট্রায়ালের প্রধান পর্যবেক্ষক ডঃ সবিতার বর্মা জানিয়েছেন যে ওই হাসপাতলে যে স্বেচ্ছাসেবকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাদের শরীরে কোনরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
তাদের শরীরের এই ভ্যাকসিনের অনাক্রম্যতা যাচাই করে দেখতে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের এই ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। ডঃ বর্মা বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমরা জানি যে এটি নিরাপদ। তাই দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা জানার জন্য আমরা নমুনাগুলি সংগ্রহ শুরু করেছি।”
অন্যদিকে দিল্লির এইমস-এ প্রথম পর্বের ট্রায়াল চলছে। এখানকার প্রধান পর্যবেক্ষক সঞ্জয় রাই জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকের দ্বিতীয় খোঁজ দেওয়া শুরু হয়েছে সেখানেও কোনো অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে না। ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ এলা সম্প্রতি বলেছিলেন,” ভ্যাকসিনটি আনার জন্য আমাদের উপর প্রচন্ড চাপ রয়েছে। তবে আমাদের কাছে সর্বজনীন সুরক্ষা ও গুণমান ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের উর্দ্ধে।
এই ট্রায়ালে যুক্ত অন্য এক পর্যবেক্ষকের কথায়, দেশের ১২ টি হাসপাতালে ৩৭৫ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালটি আগস্টের শেষের দিকে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দিল্লির পরীক্ষাগুলি সফল হলে, ২০২১ সালে প্রথমার্ধেই ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাবে।