রাজ্যের ৬টি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের

শুক্রবার স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৫ নম্বর অ্যাডভাইজারি মানা হচ্ছে না এই খবর প্রকাশ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। এর আগেও একবার ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল কমিশন। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে অ্যাডভাইজারি মেনেই কাজ করতে হবে হাসপাতাল গুলিকে।

কলকাতা: রাজ্যের করোনা চিকিৎসার জন্যে চিহ্নিত বেসরকারি হাসপাতাল গুলির কর্মসূচী সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হল স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল গুলি যাতে স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মেনে চলে সেই দিকে নজর দিল স্বাস্থ্য ভবন। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল রাজ্যের একাধিক বাণিজ্যিক হাসপাতাল কমিশনের অ্যাডভাইজ়রি মেনে চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত খরচের তালিকা প্রকাশ করেনি। এই ঘটনায় রাজ্যের ৬ টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা রজু করে কারণ জানতে চেয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৫ নম্বর অ্যাডভাইজারি মানা হচ্ছে না এই খবর প্রকাশ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। এর আগেও একবার ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল কমিশন। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে অ্যাডভাইজারি মেনেই কাজ করতে হবে হাসপাতাল গুলিকে।

গত ২২ অগস্ট ১৫ নম্বর অ্যাডভাইজ়রির অনুযায়ি রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালকে প্রতিটি বিভাগে চিকিৎসার কত খরচ, তা রোগীর পরিজনদের জানাতে হাসপাতাল চত্বরে 'ডিসপ্লে-বোর্ড' ঝোলানোর কথা ছিল। অ্যাডভাইজ়রির নিদান অনুযায়ী, হাসপাতালের রিসেপশন, ক্যাশ কাউন্টার এবং ঢোকার মুখে সেই ডিসপ্লে-বোর্ড ঝোলাতে হবে যাতে রোগীর পরিজনদের সেটি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলি সেই নির্দেশ অনুসরণ করেনি। বৃহস্পতিবার অ্যাপোলো গ্লেনইগলস, আনন্দপুর ফর্টিস, রুবি, আমরি মুকুন্দপুর, সিএমআরআই এবং দ্বিতীয়বারের জন্যে ডিসানে ১৫ নম্বর অ্যাডভাইজ়রি পুঙ্খানুপুঙ্খ মেনে চলেনি। সেই সুত্রে কমিশন মামলা করে জানিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে এই বিষয়ে।

পাশাপাশি, মেডিকা, আর এন টেগোরের ক্ষেত্রেও নতুন অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী ডিসপ্লে-বোর্ড ঝোলানো হয়নি। মেডিকার অ্যাডমিশন কাউন্টারের এক কর্মীর কথায়, ‘‘রোগীকে ভর্তির সময় আনুমানিক খরচ কত হবে, তা বিলিং ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলিং করে দেন। রেট চার্ট আলাদা করে নেই।’’ যদিও হাসপাতালের কর্মীদের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছে মেডিকা কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের মতে, হাসপাতালের ঢোকার মুখ থেকে প্রতিটি টিভি মনিটরে খরচের তালিকা দেওয়া আছে। আবার আর এন টেগোরের এমার্জেন্সি বিভাগের এক কর্মী জানান, ‘‘খরচের তালিকা ডিসপ্লে কিছু করা নেই। বিলে তার উল্লেখ রয়েছে।’’ এই কথাও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে আর টেগোর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মতেও নির্দিষ্ট ডিসপ্লে-বোর্ড টাঙানো আছে। কিন্তু বাস্তবে তার হদিস মেলে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 17 =