লন্ডন: করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্বের সমস্ত দেশেই এখন আরওবেশি সংখ্যায় দ্রুত এবং নির্ভুল টেস্টের ওপরে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এক্ষেত্রে ল্যানসেটের একাডেমিক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে একটি ব্রিটিশ র্যাপিড কোভিড-টেস্ট পদ্ধতি ‘ডিএনএনাজ’ এর নাম। যা ইতিমধ্যেই দারুন কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এই কোভিড টেস্টিং পদ্ধতি অবলম্বন করে এক ঘন্টার মধ্যেই মিলছে নির্ভুল ফল এবং এর জন্য কোনও ল্যাবেরও প্রয়োজন হচ্ছে না।
ল্যানসেটের পর্যবেক্ষণ বলছে, এই কোভিড টেস্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও বেশি মানুষ কর্মজীবনে ফিরে যেতে পারে। এছাড়াও সঠিক সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়লে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রেও এই টেস্ট কাজে আসবে। ফলে করোনা সংক্রমণের পরবর্তী পর্যায়ের গতি হ্রাস করা সম্ভব হবে।ডিএনএ টেস্টের আদলে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক অধ্যাপকের তৈরি নতুন এই টেস্ট পদ্ধতি পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফলভাবে উত্তীর্ণ। এপ্রিলের শেষের দিকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই টেস্ট পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে
ব্রিটেনের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ)। ল্যানসেট মাইক্রোবের গবেষনায় এই কোভিড টেস্ট পদ্ধতি দারুন গ্রহযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এই টেস্ট পদ্ধতির নির্ভুলভাবে সংক্রমণ সনাক্তকরণের ক্ষমতা করোনা আক্রান্তদের ৯৪ শতাংশের ক্ষেত্রে কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আর যাদের সংক্রমণ নেই তাদের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ফল মিলছে।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক তথা গবেষণার প্রধান লেখক গ্রাহাম কুকের কথায়, করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে নমুনার কোনো উপাদান ছাড়াই এই ‘কোভিনাজ’ টেস্টটি ল্যাবের নির্ভুল পরীক্ষার সমতুল্য। ল্যানসেট সংবাদপত্রে এই টেস্ট পদ্ধতির বিবরণে বলা হয়েছে, আগে থেকে নমুনা সংগ্রহ ছাড়াই, ল্যাবের বাইরে সংবেদনশীল, নির্দিষ্ট ও দ্রুত পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই টেস্ট এর জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র নাকের কফ। ব্রিটেনের সমস্ত হাসপাতালে করোনা সনাক্তকরণে এই পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে বলে এলবিসি রেডিওকে জানিয়েছেন,স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকুক।