প্রভাবশালী যোগাযোগে ৭৮% রোগীর পেয়েছেন কোভিড বেড, বাকিদের দিয়েছে ঘুষ: সমীক্ষা

সম্প্রতি লোকাল সার্কেল নামক একটি সংস্থা ভারত জুড়ে একটি সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে। যেখানে জানা গিয়েছে, রুটিন পদ্ধতিতে কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন মাত্র চার শতাংশ রোগী। অন্যদিকে ৭৮ শতাংশ রোগীই প্রশাসনের ওপরের মহলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার সুবাদে কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন।

 

নয়াদিল্লি: করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বা শরীরের অবস্থা অবনতি হলে টেস্ট করনো উচিত, এমনটা প্রচার হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। সেই মতো টেস্ট করানোর পরে ফলাফল করোনা পজিটিভ এল। এরপর স্বাভাবিকভাবেই ভর্তি হতে হবে কোনও করোনা চিকিৎসার জন্য বেড থাকা হাসপাতালে। কিন্তু প্রশাসনের ওপরের মহলের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে করোনা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেশ কষ্ট সাধ্য! কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে খাতির না থাকলে বিনা চিকিৎসায় বসে থাকতে হতে পারে! এমনই দাবি সমীক্ষা রিপোর্টে৷

সম্প্রতি লোকাল সার্কেল নামক একটি সংস্থা ভারত জুড়ে একটি সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে। যেখানে জানা গিয়েছে, রুটিন পদ্ধতিতে কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশ রোগী। অন্যদিকে ৭৮ শতাংশ রোগীই প্রশাসনের ওপরের মহলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার সুবাদে কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন। বেশ কয়েকমাস ধরেই কোভিড আইসিইউ বেড না পাওয়ার কথা জানিয়ে একাধিক করোনা রোগীর আত্মীয়-পরিজনের কাছ থেকে অভিযোগ আসছিল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের নামে। সেই অভিযোগগুলিকে প্রাধান্য দিয়েই লোকাল সার্কেল সংস্থা এই সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

দেশের মোট ২১১টি জেলায় ১৭,০০০ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালায় লোকাল সার্কেল। সামাজিক যোগাযোগ তাঁদের কোভিড আইসিইউ বেড পেতে কতটা সাহায্য করেছে, সংস্থা সার্ভের সময় সেই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়৷ সেখানে ৩৮ শতাংশ মানুষই জানান, ওপরতলায় ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকার সুবাদেই তাঁরা কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন৷ পাশাপাশি ৭ শতাংশ মানুষ জানান, আক্রান্ত হয়েও বারবার হাসপাতালে যোগাযোগ করে বহুবার চেষ্টা করার পরেই কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন তাঁরা৷ এমনকি সেক্ষেত্রে তাঁদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অথবা সরকারি আধিকারিকদের ঘুষও দিতে হয়েছে৷ সেখানে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ সাধারণ নিয়ম মাফিক হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছেন৷ অন্যদিকে আরও ৪ শতাংশ মানুষ অনেক চেষ্টা করেও হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *