কার্যকর ১ ডিসেম্বর থেকে, নয়া করোনা গাইডলাইন প্রকাশ কেন্দ্রের

কিছুদিন যাবৎ দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ কিঞ্চিৎ হ্রাস পেলেও আবার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফ।

নয়াদিল্লি: কিছুদিন যাবৎ দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ কিঞ্চিৎ হ্রাস পেলেও আবার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফ। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি রাজধানী দিল্লির অবস্থা সঙ্গীন। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে দিনপ্রতি সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি। এই প্রেক্ষিতে নতুন করোনাভাইরাস গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ১ ডিসেম্বর থেকেই তা কার্যকরী হয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশিত নতুন করোনাভাইরাস গাইডলাইনে কনটেইনমেন্ট জোনের প্রতি বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে। আরো কড়া ভাবে নিয়ম আনতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি, নাইট কার্ফুর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। কবে লকডাউন আর কার্যকরী করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নতুন করোনাভাইরাস গাইডলাইন কার্যকরী থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সংক্রমনের প্রাথমিক পর্যায় থেকে মহারাষ্ট্র সবচেয়ে উপরে রয়েছে। তারপরেই রাজধানী দিল্লি। এই মুহূর্তে রাজধানীর পরিস্থিতি আরো সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধিতে খুব একটা ভালো জায়গায় নেই পশ্চিমবঙ্গও। সবচেয়ে সংক্রামিত রাজ্যের তালিকা এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা। অন্যান্য রাজ্যেও দিনপ্রতি সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। এই পরিপেক্ষিতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকরী না হলেও নাইট কার্ফুর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে, তাতে স্পষ্ট, এই বছরে দেশের জনজীবন একেবারেই স্বাভাবিক হবে না।

 

এদিকে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪,৩৭৬ জন, সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ লক্ষ ২২ হাজার ২১৭ জন। শেষ একদিন এই মৃত্যু হয়েছে ৪৮১ জনের। সব মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯৯ জন। তবে কিঞ্চিৎ আশার খবর এই, ভারতে এই মুহূর্তে ভাইরাসমুক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৬ লক্ষ ৪২ হাজার ৭৭১ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 12 =