নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯ ভাইরাসের সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিচিত হয় প্রায় বছর খানেক আগে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত যে বিশ্ব জুড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এই মারণ ভাইরাস, অবশেষে তা থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন বানিয়ে ফেলেছে একাধিক সংস্থা। সেই আবহেই এবার নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে মুখ খুলল বায়োএনটেক (BioNTech)।
মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার এবং বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে আমেরিকায় সাধারণের ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাদের ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে দেওয়া হলে কতটা কাজ করবে তা নিয়ে সোমবার সন্দেহ প্রকাশ করেছে ফাইজার ও বায়োএনটেক কর্তৃপক্ষ। এদিন তাঁরা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ট্রায়ালের সময় ভ্যাকসিনের ডোজের জন্য যে সময় মেনে চলা হয়েছিল, তার অন্যথা হলে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা কেমন হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।’’
বস্তুত, করোনা মোকাবিলার জন্য ফাইজার বায়োএনটেক নির্মিত ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৩ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় সহায়ক ডোজটি নিতে হয়। দুটি ডোজের মধ্যেকার এই সময়ের ব্যবধান প্রসঙ্গেই এদিন যৌথ বিবৃতি দেয় টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা। ‘‘২১দিনের পর দ্বিতীয় ডোজ ছাড়া প্রথম ডোজের কার্যকারিতা বিষয়ে এখনও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি’’, বলেন তাঁরা।
গত কয়েক দিন ধরেই নানা কারণে বেশ কিছু দেশ ফাইজার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর পথে হাঁটছিল। জার্মানি, ব্রিটেন এমনকি ডেনমার্কেও ফাইজার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ২১ দিনের বেশি করা হয়েছে। মূলত সার্সের জোগান সংক্রান্ত সমস্যা এড়াতেই এই বিলম্ব করা হচ্ছিল। আর তারপরেই এল ফাইজার বায়োএনটেকের এই যৌথ বিবৃতি। ২১ দিনের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে প্রথম ডোজের কার্যকারিতা সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করলেন স্বয়ং নির্মাতা সংস্থাই।