একা করোনায় রক্ষে নেই, দোসর ‘টিবি’! আগামী বছরে ১০ লাখ ছাড়াবে রোগীর সংখ্যা

একা করোনায় রক্ষে নেই, দোসর ‘টিবি’! আগামী বছরে ১০ লাখ ছাড়াবে রোগীর সংখ্যা

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ এক বছর টানাপোড়েনের পর করোনা ভাইরাস নিয়ে অবশেষে মিলেছে স্বস্তির খবর। ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আর দূরে নেই। খুব শিগগিরই বাজারে আসতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন। কিন্তু অতিমারীর ভ্রুকুটি কাটতে না কাটতেই অন্য এক আশঙ্কার কথা শোনালেন প্রাক্তন ICMR কর্তা।

করোনার প্রকোপ দূর হলেও আগামী ১ বছরের মধ্যে বিশ্বে  যক্ষ্মা বা টিবি রোগের ভয়াল প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)-র শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী তথা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল সৌম্য স্বামীনাথন। তিনি জানিয়েছেন, “টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা দূরীকরণের প্রক্রিয়া করোনা অতিমারীর প্রভাবে বড়সড় বাঁধার মুখোমুখি হয়েছে।” এর ফলে আগামী বছরে বিশ্বে টিবি রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্বের ভয়ানক সংক্রামক রোগ হিসেবে টিবি প্রতি বছর প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষের প্রাণ নেয়। এদিন ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সম্মেলনে টিবি নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, “টিবি নির্ধারণে ব্যবহৃত জেনএক্স যন্ত্র কোভিড-এর আরটি-পিসিআর (RT-PCR test) পরীক্ষার কাজে লাগানো হয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও আপাতত করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত রয়েছেন। লকডাউন-সহ বিবিধ নিষেধাজ্ঞার কারণে আয়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার ফলে বাড়ছে অপুষ্টির হার। এর জেরে প্রতি বছর আরও ১০ লাখ মানুষ টিবি আক্রান্ত হতে পারেন।”

অতিমারী পরিস্থিতিতে টিবি নিয়ন্ত্রণের প্রচারও অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন সৌম্য স্বামীনাথন। ফলে আগামী দিনে একদিকে যেমন টিবি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তেমনি মৃত্যুর হারও বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।  উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে মোট টিবি রোগীর সংখ্যা ছিল ২০,৬৯,০০০ জন। ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরো অন্তত ১ লাখ বাড়বে বলে আশঙ্কা চিকিৎসক মহলের একাংশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 − two =