ভ্যাকসিন এলেও কাটেনি বিপত্তি! করোনা চিকিৎসার নয়া গাইডলাইন WHO-র

ভ্যাকসিন এলেও কাটেনি বিপত্তি! করোনা চিকিৎসার নয়া গাইডলাইন WHO-র

নয়াদিল্লি: দেশে দেশে একাধিক করোনা ভ্যাকসিনের আবিষ্কার মানুষের মন থেকে অতিমারীর আতঙ্ককে  কমিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। সংক্রমণ এখনো নির্মূল না হলেও মানুষ খানিক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু বর্তমান অতিমারী পরিস্থিতিতে কি চিন্তার কিছুই নেই? তা কিন্তু নয়। আর তাই স্বস্তির আবহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রকাশ করল একগুচ্ছ নতুন গাইডলাইন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একগুচ্ছ নতুন উপদেশাবলী (clinical advice) প্রকাশ করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত যে সমস্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও রোগলক্ষণ বহন করে চলেছেন, হু-এর গাইডলাইনে তাঁদের জন্যেও ছিল উপদেশ। বলা বাহুল্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নতুন গাইডলাইনে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, বলা হয়েছে তেমনটাই।

এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফ থেকে হু-এর মুখপাত্র মারগারেট হ্যারিস জেনেভায় সংস্থার নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে সমস্ত করোনা রোগী বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকছেন তাদের পালস অক্সিমেট্রি (pulse oxymetry) বা অক্সিজেন মাপক যন্ত্র সঙ্গে রাখা উচিত। এর ফলে ঘরে বসেই তাঁরা অক্সিজেনের পরিমাণ সম্বন্ধে সচেতন থাকতে পারবেন এবং যদি তা কমে যায় হাসপাতালের পরিষেবার প্রয়োজন কিনা তা নিজেরাই বুঝতে পারবেন।” এছাড়া, এদিন হু-এর তরফ থেকে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দূর করার জন্যেও দেওয়া হয়েছে উপদেশ। স্বল্পমাত্রার অ্যান্টি-কোগুল্যান্ট ব্যবহার করলে এই সমস্যা দূর হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্গারেট হ্যারিস।

হু-এর গাইডলাইনে চিকিৎসকদের জন্যেও রয়েছে পরামর্শ। হাসপাতালে রোগীদের সামনের দিকে উপুর করে শুইয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে। এর ফলে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ ঠিক থাকবে।  তবে রক্ত তঞ্চন রোধে অ্যান্টি-কোগুল্যান্টের অধিক মাত্রায় ব্যবহার বিপদ ডেকে আনতে পারে, এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপত্র মার্গারেট হ্যারিস সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন সকলকে। তিনি আরো জানিয়েছেন, হু-এর তরফে এক গবেষণাকারী দল বর্তমানে চীনের উহান প্রদেশ গবেষণারত আছেন। বছরখানেক আগে সেখানেই প্রথম দেখা মিলেছিল করোনা ভাইরাসের। এই মুহূর্তে হু-এর সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো বিশ্বের প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মীকে বছরের প্রথম একশো দিনের মধ্যে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া, জানিয়েছেন মার্গারেট হ্যারিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × three =