নয়াদিল্লি: সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত দিশেহারা গোটা দেশ৷ হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ কিন্তু এরই মাঝে করোনাকে হারিয়ে সুস্থও হয়ে উঠছেন বহু মানুষ৷ তবে ১৪ দিনের এই রিকভারি পিরিয়ডের মধ্যে ৫ থেকে ১০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়৷ কেন এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?
আরও পড়ুন- “মানুষের মত করোনাভাইরাসেরও বাঁচার অধিকার আছে!”
মৃদু উপসর্গ থাকলে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা সম্ভব৷ কিন্তু সুস্থ হয়ে ওঠার মাঝপথে কেউ অধিক অসুস্থ হতে পারেন৷ প্রথম কয়েকদিন সংক্রমণ নিয়ে অনেক দ্বিধা রয়েছে৷ মৃদু আক্রান্ত হলেও, সংক্রমিত হওয়ার ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে তা সবচেয়ে ভালো করে বোঝা সম্ভব৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত হওয়ার পর আইসোলেশনে থাকার সময় ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সংক্রমণের প্রকৃত রূপ জানা সম্ভব৷ যাই হোক সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধের জন্য শরীর যখন অ্যান্টিবডি উৎপাদন করে তখন কোনও কোনও সময় তা অতিরিক্ত উদ্দীপিত হতে পারে৷ যা ৬ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই বোঝা যায়৷
আরও পড়ুন- প্রায় ১,০০০ টাকায় মিলবে রাশিয়ান ভ্যাকসিনের একটি ডোজ!
এই সময়ের মধ্যে শরীর অতিরিক্ত খারাপ হলে, অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে, জ্বর বাড়লে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ এই সময়ের মধ্যে শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে৷ এক্ষেত্রে বয়সেরও একটা ভূমিকা রয়েছে৷ চিকিৎসকরা বারবার বলেছেন, যদি কারও সুগার, হাই কোলেস্টরাল, ওবিসিটি বা অন্যান্য অসুখ থেকে খাকে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও অধিক বাড়ার সম্ভাবনা থাকে৷ অনেক সময় কোভিড গুরুতর উদ্বেগের কারণ হতে পারে৷ তাই সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই সময় চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা খুবই জরুরি৷