ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রায় ২০০ কোটি টিকা পাচ্ছে ভারত! কী কী থাকছে তালিকায়

ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রায় ২০০ কোটি টিকা পাচ্ছে ভারত! কী কী থাকছে তালিকায়

নয়াদিল্লি: দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন ভ্যাকসিনের আকাল। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে একের পর এক আক্রমণ করতে শুরু করেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। এমনকি একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ হচ্ছে ভ্যাকসিন না পাওয়ার জন্য। এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারা জানিয়ে দিল, চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রায় ২০০ কোটি টিকা হাতে পাবে ভারত। এই কয়েক মাসের মধ্যে ৮ টি টিকা পাবে দেশ। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন ছাড়াও ৬ টি টিকা হাতে আসছে ভারতের। সব মিলিয়ে মোট ২১৬ কোটি ভ্যাকসিন হাতে পাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ চলে এসেছে ভারতে। আসবে আরো ৬ টি‌ ভ্যাকসিন। কোন কোন ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার কথা ভারতের, দেখে নেওয়া যাক এক ঝলক…

কোভিশিল্ড

দেশের তৈরি প্রথম দুটি ভ্যাকসিনের একটি হল কোভিশিল্ড। এখনো পর্যন্ত ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে এই ভ্যাকসিন। কেন্দ্রীয় সরকার জানাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন আরো ৭৫ কোটি তৈরি হয়ে যাবে। অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন বর্তমানে তৈরি করছে সেরাম ইন্সটিটিউট।

কোভ্যাক্সিন

ভারতের আরো একটি নিজস্ব ভ্যাকসিন হল এটি। কোভিশিল্ডের তুলনায় কম ব্যবহৃত হলেও ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যথেষ্ট বেশি বলেই দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে চলতি বছরের মধ্যে আরো ৫৫ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদিত হবে দেশে। প্রাথমিকভাবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে কিঞ্চিৎ দ্বন্দ্ব থাকলেও এখন সেটি কেটে গিয়েছে পুরোপুরি।

স্পুটনিক ভি

রাশিয়ান এই ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই চলে এসেছে ভারতে। রাশিয়া দাবি করেছিল এটাই বিশ্বের সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন। যদিও তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়াও একাধিক দেশের সংশয় ছিল। তবে দাবি করা হচ্ছে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রায় ৯২ শতাংশ। চলতি বছরে কমপক্ষে ১৫.৬ কোটি ভ্যাকসিন ভারত হাতে পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

নেসাল ভ্যাকসিন

ভারত বায়োটেক আরো একটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে যেটি হল নেসাল ভ্যাকসিন। এটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে নয়, ড্রপারের মাধ্যমে নাক দিয়ে নেওয়া যাবে। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অন্য ভ্যাকসিনের তুলনায় অনেকটাই কম। চলতি বছরে প্রায় ১০ কোটি ভ্যাকসিন মিলবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।

নোভাভ্যাক্স

সিরামের তৈরি আরও একটি ভ্যাকসিন চলতি বছরের শেষে ২০ কোটি হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। দাবি করা হয়েছে এই টিকার কার্যকারিতা প্রায় ৯৬ শতাংশ। বর্তমানে ভারতে এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।

জাইডাস ক্যাডিলার ডিএনএ

মে মাসের শেষেই ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়ে দিতে পারে। ডিসেম্বরের মধ্যে এদের ৫ কোটি টিকা পাওয়া যাবে ভারতে। বর্তমানে ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। 

জেনোভা এম আরএনএ

গত ডিসেম্বর মাসেই মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি পেয়ে গেলেও এখনও তা শুরু হয়নি। এটি তৈরি করছে পুণের সংস্থা জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস। ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা দেওয়ার কথা এই সংস্থার।

বায়ো ই-সাব ইউনিট ভ্যাকসিন

ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রকে ৩০ কোটি টিকা সরবরাহ করার কথা হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বায়োলজিকাল ই লিমিটেডের। এই টিকারও তিন দফা পরীক্ষার মধ্যে দ্বিতীয়টি সম্পন্ন হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − two =