নয়াদিল্লি: ঘরবন্দি জীবন। এই অবস্থায় ঘরে বসেই সামলাতে হচ্ছে অফিস কাছারি। দীর্ঘসময় ধরে কম্পিউটার, ল্যাপটপে মুখ গুঁজে কাজ। থাকছে না কাজের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা। সেই সঙ্গে খাওয়ারও নির্দিষ্ট সময় থাকছে না। সব মিলিয়ে প্রভাব পড়ছে শরীরের উপর। সম্প্রতি পরিসংখ্যাণ তুলে ধরে এবিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হু এবং আইএলও অনুসারে জানা গেছে-২০১৬ সালে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করার কারণে ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার মানুষ স্ট্রোক এবং ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা গিয়েছেন।২০০০-২০১৬ এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী কাজ, হৃদরোগে মৃত্যুকে ৪২% এবং স্ট্রোকের প্রবণতাকে ১৯% বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৭২%। সর্বাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ৬০-৭৯ এবং ৪৫-৭৪ বছর বয়সের মধ্যে, যারা প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘন্টা বা তার বেশি পরিশ্রম করেছেন। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ বা তার বেশি ঘন্টা কাজ করা সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘন্টা কাজ করার তুলনায় স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশেরও বেশি বাড়িয়ে দেয়। ইস্কেমিক হার্টের অসুখের ঝুঁকি ১৭% এরও বেশি বৃদ্ধি করে।
সমীক্ষা বলছে, বেশি ঘন্টা কাজ করার কারণে এই সংক্রান্ত রোগের প্রবণতা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলগুলিতে বেশি দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে এই ধরনের অভ্যাস বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে কাজ সম্পর্কিত রোগ এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে। কীভাবে মিলবে সমাধান? বিশেষজ্ঞরা বলছেন,সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। সঠিক সময়ে বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন।
Модные советы по выбору необычных видов на любой день.
Мнения стилистов, новости, все новинки и шоу.
https://vladtoday.ru/news/2024-09-10-10-prichin-za-chto-my-lyubim-demnu-gvasaliyu/