কলকাতা: শিশুদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাদের খাদ্য। শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য শৈশব থেকেই নজর দিতে হবে খাদ্যতালিকায়৷ সেখানে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার। পিৎজা, বার্গার বা পেস্ট্রি খেতে শিশুরা ভালোবাসলেও, এইসব খাবার শিশুদের স্বাস্থ্যেরই নয়, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেরও ক্ষতি করে৷ দীর্ঘ সময় ধরে জাঙ্ক ফুড খেলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতেও প্রভাব পড়ে। তাই রইল এমন কয়েকটি খাবারের কথা বলা হয়েছে যা সুপারফুড হিসেবে শিশুর ডায়েটে রাখা যেতে পারে।
ডিম: এক বছর বয়স হয়ে গেলেই শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ডিম। এতে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন বি ও ডি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফলিক অ্যাসিড শিশুর মানসিক বৃদ্ধি ঘটায়।
দুধ: শিশুর দুধই প্রধান খাবার। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন শিশুর শরীরিক উন্নতিতে সাহায্য করে। এছাড়া দুধে থাকা ফসফরাস ও ভিটামিন ডি হাড়, নখ ও দাঁত মজবুত করে৷
কলা: কলায় থাকা ভিটামিন বি৬, সি, এ ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার শিশুদের বিকাশে ভীষণ কার্যকরী৷ এছাড়াও কলায় রয়েছে গ্লুকোজ, যা শক্তি জোগায়।
শুকনো ফল: প্রতিদিন শিশুকে আমোন্ড, কাজু, বাদাম, আখরোটের মতো শুকনো ফল খাওয়ালে, তা মস্তিষ্কের কার্যকরিতা ঠিক রাখতে উপযোগী। বাদাম শিশুদের শক্তি জোগায় এবং শারীরিক ক্ষমতা বাড়ায়।
দই: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য শিশুর ডায়েটে দই রাখা দরকার। এতে ল্যাকটোজ, আয়রন, ফসফরাস রয়েছে।
ওটস: ফাইবার ও বেটা গ্লুকানে সমৃদ্ধ ওটস শিশুদের শক্তি জোগায়।
আলু: শিশুকে মিষ্টি আলু দেওয়া উচিত। এতে থাকা ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ শিশুকে শক্তি জোগায়।