নয়াদিল্লি: ভারতের করোনাভাইরাস টিকাকরণ শুরু হয়েছিল দুটি ভ্যাকসিন দিয়ে যার মধ্যে অন্যতম কোভ্যাক্সিন। যদিও শুরু থেকে এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে ট্রায়াল’ রিপোর্ট সম্পন্ন প্রকাশ্যে আসার পর কিছুটা হলেও উদ্বেগ কমেছিল। কিন্তু এখন আরও এক রিপোর্ট এই ভ্যাকসিন নিয়ে চর্চা বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রযুক্তির বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী এই ভ্যাকসিন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত জার্নাল ল্যানসেট।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যতটা দাবি করা হয়েছিল তার থেকে তার কার্যকারিতা কম। প্রথমে দাবি করা হয়েছিল যে এই ভ্যাকসিন ৭৭ শতাংশ কার্যকরী কিন্তু এখন দেখা গেছে এটি ৫০ শতাংশ কার্যকর। সেই তুলনায় ফাইজার ভ্যাকসিন ৮৮ শতাংশ ৯৩ শতাংশ কার্যকর এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকা (কোভিশিল্ড) ৬৭ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ কার্যকরী। সেই প্রেক্ষিতে ভারত বায়োটেকের এই টিকা কার্যকারিতায় অনেকটাই কম নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। যদিও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এই ভ্যাকসিন রোগীকে কতটা সাহায্য করবে সে ব্যাপারে কোন তথ্য প্রকাশিত হয়নি। এদিকে গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর সেটাও এখনো অস্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, আজ দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১১৯ জন এবং সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ১০ হাজার ২৬৪ জন। এই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬ জনের। এদিকে দেশের অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা আপাতত দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯৪০ জন, যা বিগত ৫৩৯ দিনের সব থেকে কম। অন্যদিকে গোটা দেশজুড়ে এই মুহূর্ত পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে ১৩২ কোটি ৩৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৫০ ডোজ। সব মিলিয়ে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯৮০ জন। আপাতত দেশের সংক্রমণের হার ৫.৪৩ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ০.৭৯ শতাংশ।