নয়াদিল্লি: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু হয়েছিল কিন্তু এখন বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি, ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রজাতির নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়ে দিয়েছে ভারত সহ একাধিক দেশকে এবং মনে করছে যে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে এই নতুন ভাইরাসের রূপ। এখনই একে বলা হচ্ছে ডেল্টা প্রজাতির থেকেও বেশি সংক্রমক কিন্তু আদতে তা কত বেশি ভয়ঙ্কর সেটা এই মুহূর্ত পর্যন্ত জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটা জানার জন্য যে আদতে এই নতুন প্রজাতির কতটা সংক্রামক হয়ে উঠবে আগামী দিনে। সেই প্রেক্ষিতেই একাধিক প্রশ্ন ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিজ্ঞানীদের একাংশের মত, এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাস বিরাট ভয়ঙ্কর রূপ নেবে এমন কিছু বলার সময় আসেনি। কারণ এই ভাইরাস নিয়ে তথ্য এবং গবেষণার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা। যতক্ষণ না পর্যন্ত সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ এর ভয়াবহতা নিয়ে কিছুই বলা যাবে না। সেই প্রেক্ষিতেই বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন বিজ্ঞানীরা এবং সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ভাইরাসের প্রজাতি নিয়ে প্রথম যে প্রশ্ন সেটি হল, আদৌ এটি ডেল্টা প্রজাতির জায়গা নিতে পারবে কিনা। কারণ বেশিরভাগ বিজ্ঞানী মনে করছেন এটি হলে খুব ভালো হবে কারণ এই প্রজাতি বেশি সংক্রামক হলেও মানব শরীরে বেশি ভয়াবহতা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ বলেই অনুমান। তাহলে ধীরে ধীরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহতা কমে যাবে। যদিও বিগত কয়েক সপ্তাহের ইউরোপের একাধিক দেশে বিরাট মাত্রায় ছড়িয়েছে এই নতুন প্রজাতি। তাই সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে বিজ্ঞানী মহলে।
এরপরে রয়েছে ভ্যাকসিনেশন। এই নতুন প্রজাতি টিকার বিরুদ্ধে কতটা প্রভাবশালী সেটাও এখন পরীক্ষার বিষয়। বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর এখনো পর্যন্ত পাননি যে টিকা নেওয়া ব্যক্তি এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে কতটা সুরক্ষিত। তবে মনে করা হচ্ছে ঠিকানা না থাকলে ভাইরাসের ভয়াবহতা অবশ্যই কমবে। পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে ওষুধ আদতে কাজ করবে কিনা সংক্রামিতর শরীরে। বিজ্ঞানীরা এই নিয়েও দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিরাট ভয়াবহতা দেখাবেনা এই নতুন প্রজাতি। যদিও চূড়ান্ত সতর্কমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রত্যেক দেশ।