নয়াদিল্লি: দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। যত দিন যাচ্ছে, উদ্বেগ বাড়ছে এই নয়া প্রজাতি নিয়ে। ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত অনেকের হদিশ মিলেছে। এদিকে আবার একাধিক পরিষেবা আগের মত চালু রয়েছে, স্কুল-কলেজ খুলেছে বহু রাজ্যে। তাহলে ওমিক্রন থেকে বাঁচার উপায় কী? সেই দিশা দিলেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। মূলত দুটি কাজের কথা বললেন তিনি যা সকলকে মেনে চলতেই হবে।
ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রামক বলে অনেক আগেই সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ তবে এর মারণ ক্ষমতা অনেকটাই কম বলে আপাতত দাবি করা হয়েছে৷ ওমিক্রন ভ্যাকসিনকেও ফাঁকি দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ তবে এইমস প্রধানের বক্তব্য, টিকাকরণ এবং করোনাবিধি অনুসরণ করেই ওমিক্রন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস প্রজাতি নিয়ে বিরাট আশঙ্কার কিছু দাবি করা হয়নি। তাই দেশের মানুষকে তাঁর বার্তা, সঠিকভাবে করোনা বিধি মেনে চললেই আপাতত এই প্রজাতি রোধ করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গতকালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২১৩, যার মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী রয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র, সেখানে করোনা নতুন এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। দেশে মোট ১১ টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, ওমিক্রনের এই চোখ রাঙানির মাঝেই মাথাচাড়া দিয়েছে নয়া আতঙ্ক৷ করোনার ভয়ঙ্কর ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সঙ্গে মিলে কি সুপার স্ট্রেন তৈরি করবে অতি সংক্রামক ওমিক্রন? এই প্রশ্নের উত্তরে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে গবেষকদের একাংশ। তাদের মতে, এটা সম্ভব। সেই প্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলি। কারণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সংক্রমণ যে পরবর্তী ক্ষেত্রে বাড়তে পারে তার আশঙ্কাও রয়েছে।