কলকাতা: ওমিক্রন নিয়ে এখন সকলের চিন্তা। যত দিন এগোচ্ছে, তত বৃদ্ধি পাচ্ছে এই করোনা প্রজাতিকে নিয়ে আতঙ্ক। দৈনিক সংক্রমণ থেকে শুরু করে মৃত্যুর হেরফের হচ্ছে এই ওমিক্রনের জন্যই। আপাতত এই প্রজাতি কতটা বেশি ভয়ঙ্কর তা নিয়ে গবেষণা জারি রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই বড় রকমের তথ্য সামনে এসেছে। ওমিক্রন কাবু হতে পারে, এমন চার ধরণের অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে মানব শরীরে। যা নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর।
জানা গিয়েছে, যাঁরা আগে করোনাভাইরাসের ভিন্ন রূপে আক্রান্ত হয়েছেন বা সংক্রমিত হওয়ার পর টিকা নিয়ে ফের সংক্রমিত হয়েছেন কিংবা সংক্রমিত না হয়েও কোভিড টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের সকলের দেহেই এই চারটি শ্রেণির অ্যান্টিবডির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে করোনার অন্য কোনও রূপ এলেও এই অ্যান্টিবডির গুলির সাহায্যে টিকা বা ওষুধ তৈরি করে সেই প্রজাতিকে হারানো যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। এই নয়া তথ্য প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এ। আমেরিকার সিয়াটেলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিন, ওষুধ সংস্থা ‘হিউম্যাবস বায়োমেড’ ও সুইৎজারল্যান্ডের ‘ভির বায়োটেকনোলজি’ মিলিত ভাবে এই গবেষণা করেছে।
কীভাবে কাজ করবে এই অ্যান্টিবডি? গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, চার শ্রেণির এই অ্যান্টিবডি করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিশেষ জায়গা গত দুই বছরে চিনে ফেলেছে। সেই বিশেষ জায়গাগুলিকেই এখন তারা নিস্ক্রিয় করে দিতে পারছে অনায়াসে। পরে ভাইরাসের মিউটেশন হলে স্পাইক প্রোটিনই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে এর কারণে। মানব শরীরে তখন আর ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের ওই বিশেষ অংশগুলির মিউটেশন হবে না। এই নতুন গবেষণা আগামী দিনে আরও টিকা এবং করোনার ওষুধ তৈরিতে সাহায্য করবে বলেই মত।