মুম্বই: আত্মহত্যা নয়৷ খুন করা হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতকে! অভিনেতার মৃত্যুর দু’বছর পর একটি সংবাদমাধ্যমে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মী। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত হয়েছিল অভিনেতার। রূপকুমার শাহ নামে ওই মর্গ কর্মীর দাবি, সুশান্তের শরীরে এবং গলায় একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সে কথা তিনি জানিয়েওছিলেন৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘নীতি’ মেনে কাজের নির্দেশ দেন বলেই দাবি।
আরও পড়ুন- হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে জনপ্রিয় নাট্যব্যক্তিত্ব, চিন্তায় অনুগামীরা
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ আরও বলেন, ‘‘সুশান্ত সিং রাজপুত যেদিন মারা গিয়েছিলেন, ওই দিন কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল। পাঁচটির মধ্যে একটি দেহ ছিল ভিআইপির। ময়নাতদন্তের কাজ শুরু করার পর জানতে পারি ওই দেহটি সুশান্ত সিং রাজপুতের। তাঁর গলায় দু’ থেকে তিনটি এবং শরীরে একাধিক এবং দাগ ছিল। ওই দিন সুশান্তের ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করার দরকার ছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র তাঁর দেহের ছবি তুলতে বলেন। তাঁদের নির্দেশ মেনেই শুধুমাত্র ছবি তুলেছিলাম।’’
ময়নাতদন্তের সময় শাহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, সুশান্ত খুন হয়েছেন বলেই তাঁর অনুমান। সেই সময় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘নীতি’ মেনে কাজ করতে বলেন। শাহের কথায়, ‘‘সুশান্তের দেহ প্রথম বার দেখার পরই সিনিয়রদের বলেছিলাম, আমার মনে হয় এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। খুন হয়েছেন সুশান্ত। আমি তাঁদের এ-ও বলেছিলাম, আমাদের নিয়ম মেনে কাজ করা উচিত। যদিও সিনিয়াররা আমাকে দ্রুত তাঁর ছবি তুলে পুলিশের হাতে দেহ দিয়ে দিতে বলেন। ঘটনার দিন রাতেই আমরা সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলাম।’’
২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বইয়ের আবাসন থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ৷ প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও প্রথম থেকেই তাঁর পরিবার দাবি করে আসছে, আত্মহত্যা নয়, খুনই করা হয়েছে সুশান্তকে। মুম্বই পুলিশের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এবং সিবিআই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার গ্রহণ করে৷ সুশান্তকে মাদক জোগাড়ের অভিযোগে গ্রেফতার হন তাঁর লিভ ইন সঙ্গী তথা অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাইকে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>