মুম্বই: শুটিং সেটের শেটের শৌচালয়ে গলায় ফাঁস লাগানোর পরেও নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করতে পারেননি অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা৷ সহকর্মীরা যখন তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান, তখনও শ্বাস পড়ছিল তাঁর৷ কিন্তু, দূরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ এমনটাই দাবি তুনিশার মা বনিতা শর্মার৷
আরও পড়ুন- দিল্লিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত অঞ্জলির মায়ের পাশে দাঁড়ালেন শাহরুখ
বনিতার দাবি, তুনিশাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। কাছাকাছি কোথাও ভর্তি করা হলে হয়তো ও বেঁচে যেত৷ গত ২৪ ডিসেম্বর, ‘আলিবাবা: দস্তান-এ-কাবুল’ সিরিয়ালের সেটে এই দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত অভিনয় জগৎ। তবে এখনও তুনিশার মৃত্যুরহস্যের সুরাহা হয়নি। সহ অভিনেতা শীজান খানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার ১৫ দিনের মধ্যেই আত্মঘাতী হন তুনিশা৷ তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সহ-অভিনেতা তথা প্রাক্তন প্রেমিক শীজান খানকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তুনিশার মা বলেন, ‘‘তুনিশাকে খুন করা হয়েছে, সেই সম্ভাবনাই বেশি৷ তবে আত্মহত্যাও করে থাকতে পারে আমার মেয়ে। শুটিং যেখানে হচ্ছিল তার পাশেই হাসপাতাল ছিল। সেখানে না নিয়ে গিয়ে ওকে কেন দূরের হাসপাতালে নিয়ে গেল শীজান? তখনও শ্বাস পড়ছিল মেয়েটার! কাছে নিয়ে গেলে বেঁচে যেত ও।”
অন্য দিকে, শীজানের পরিবারের দাবি, বিনা দোষেই ফাঁসানো হচ্ছে শীজানকে৷ তুনিশার সঙ্গে তাঁর মায়েরই সম্পর্ক ভাল ছিল না। তুনিশার উপার্জনের সব টাকা ওঁর মা কুক্ষিগত করে রাখতেন বলে দাবি করেছেন শীজানের আইনজীবী। শীজানের পরিবারের দাবি খারিজ করে বনিতার দাবি, ‘‘মেয়ে আমার কাছে কী ছিল, সেটা লোকের কাছে ব্যাখ্যা করতে যাব কেন?” পাশাপাশি গত ২১ ডিসেম্বরের একটি ভিডিয়ো ক্লিপও শেয়ার করেছেন বনিতা। যেখানে তুনিশা তাঁর মাতে বলেছিলেন, “মা, আমি তোমাকে খুব ভালবাসি। এত ভালবাসি যে বলে বোঝাতে পারব না।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>