আজ বিকেল: জঙ্গি নাশকতার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককেই কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদ চিফ মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিক রাষ্ট্রপুঞ্জ। দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে একথাই বললেন ভারত সফররত সৌদি প্রতিনিধিদলের সদস্য তথা সেদেশের প্রতি মন্ত্রী আদেল আল জুবের। পুলওয়ামা কাণ্ডের পর নয়াদিল্লি সফরে এসে প্রায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় পাকিস্তানের সন্ত্রাস তোষণের বিরুদ্ধে সরব হলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পুলওয়ামা কাণ্ড নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিতে রাজি হননি তিনি। তবে বৈঠকের পর সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে রিয়াধের বক্তব্য স্পষ্ট করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, জইশ চিফ মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করুক রাষ্ট্রপুঞ্জ। এমনটাই চাইছে নয়াদিল্লি। এর আগে বার দুয়েক তদ্বির করা হলেও বারবারই এই পদক্ষেপে বাগরা দিয়ে এসেছে চিন। পাকিস্তান ও চিনের সখ্যতা আজ সর্বজনবিদিত। তাই মাসুদকে আড়াল করে চিন যে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করতে চায় তা একপ্রকার স্পষ্ট। এরপরেই প্রমাদ গোনে সাউথ ব্লক। পুলওয়ামায় নৃশংস হত্যালীলার পর ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোড়ন ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে নয়াদিল্লি। এমতাবস্থায় সৌদিকে পাশে পেয়ে যাওয়াকে ইতিবাচক সাফল্য হিসেবেই দেখছেন কূটনীতিকরা। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে শুধু সৌদি নয়, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশকে ছাতার তলায় আনতে হবে, তাহলেই মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার উদ্যোগ অনেক বেশি জোড়ালো হবে।
মাত্র ছদিন আগেই উপত্যকায় ভারতীয় সেনার রক্তে ভয়াবহ হোলি খেলল জঙ্গিরা। সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গিহানার ঘটনায় শহিদের সংখ্যা ৫০ এরও বেশি। কীভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনী উপেক্ষা করে এতবড় হামলা চালানো হল তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শাসক বিজেপিও সমালোচনার মুখে। বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় অব্যাহত। এমতাবস্থায় নয়াদিল্লির পাশে রিয়াধের উপস্থিতি শুভ সূচনার ইঙ্গিত দিচ্ছে সন্দেহ নেই।