কলকাতা: বছর শেষে ফের ফুঁসতে শুরু করেছে মারণ করোনা ভাইরাস৷ চিনে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ৷ তবে করোনার কোনও চেনা রূপ নয়, এবার তাণ্ডব চালাচ্ছে ওমিক্রনের একটি উপপ্রজাতি বা সাব-ভ্যারিয়েন্ট BF.7। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উপপ্রজাতির দাপটেই আগামী দিনে করোনা আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে৷ বেশ কয়েকটি প্রজাতি এবং উপপ্রজাতি মিলে নতুন একটি রূপের জন্ম দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- করোনা না কি সাধারণ ফ্লু? বুঝবেন কী ভাবে? দুইয়ের উপসর্গ কি আলাদা?
সম্প্রতি জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট ক্যাম্পবেল রে সংবাদমাধ্যমের সামনে করোনা নিয়ে তাঁর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন৷ তাঁর কথায়, ‘চিনের বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে। তার উপর বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা কমে গিয়েছে৷ যা করোনাকে আরও ভয়াবহ করে তোলার জন্য যথেষ্ট।
তাঁর মতে, একে চিনের বিপুল জনসংখ্যা, অন্যদিকে, মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়া, দেশে একটি নতুন করোনার জন্মের পক্ষে আদর্শ স্থান হয়ে উঠেছে। স্টুয়ার্টের আশঙ্কা, করোনার নতুন একটি ঢেউ আসতে চলছে। তার সঙ্গেই ঢুকে পড়বে করোনার নতুন রূপ’৷
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম চিনেই উঁকি দিয়েছিল করোনা ভাইরাস৷ ক্রমে তা ঘাতক হয়ে ওঠে৷ গ্রাস করে গোটা দুনিয়াকে৷ এর পর একের পর এক আসে ডেল্টা এবং ওমিক্রনের ধাক্কা। করোনার সেই দুই প্রজাতির ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা বিশ্ব। নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মারণ ভাইরাস৷
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট ক্যাম্পবেল রে-র সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষ শান-লু লিউ-ও। তাঁর মতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরাও খারাপ হওয়া যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে৷ চিনের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখলেই তা ঠাওর করা যায়। ওমিক্রনের নয়া সাব ভ্যারিসেন্ট BF.7 গোটা বিশ্বকে সংকটে ফেলতে পারে।
শান-লু লিউয়ের কথায়, করোনার এই নতুন রূপ সহজেই রোগ প্রতিরোধের বর্মকে ভেদ করে আঘাত হানতে পারে৷ টিকার থেকে যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হয়েছে, সেই চক্রব্যূহকেও ভেঙে দিতে পারে। ফলে এটি যে কোনও সময় চিন থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফের নিতে পারে বিধ্বংসী রূপ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>